ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লেবার পার্টির স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
লেবার পার্টির স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে কিয়ার স্টারমারের সাক্ষাৎ

স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ নির্বাচনে তার দল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে।

২০১০ সালের পর এই প্রথম লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী দেখল যুক্তরাজ্য।

কনজারভেটিভদের ভরাডুবিতে লেবার পার্টি বড় জয় নিয়ে পার্লামেন্টে ফিরছে।

শুক্রবার বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস কিয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।  

এরপর তিনি ডাউনিং স্ট্রিটে যাবেন।  

সন্ধ্যায় স্টারমার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করবেন। শনিবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার বৈঠক বসবে।

লন্ডনে ভাষণ দিতে গিয়ে কিয়ার স্টারমার লেবার পার্টির সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, পরিবর্তন শুরু হলো। ভালো লাগছে। আমার সৎ থাকতে হবে।  

টোরিদের সমর্থন পড়ে যাওয়ায় লেবার এত বড় জয় পেল। স্যার কিয়ার স্টারমারের দল নাটকীয় উত্থানের সাক্ষী। ২০১৯ সালে তার পূর্বসূরি জেরেমি করবিনের অধীনে ভোটে গিয়েছিল দলটি।

কিয়ার স্টারমারের বয়স ৬১ বছর। তার পড়াশোনা রেইগেট গ্রামার স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব লিডস ও ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে।  

তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ডার, যিনি এনএইচএসের একজন ওকুপেশনাল থেরাপিস্ট। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে স্টারমারের সংসদীয় আসন হলবর্ন ও সেন্ট পানক্রাস।

লেবার পার্টির এ নেতা নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির বলেই পরিচয় দেন। তার বেড়ে ওঠা সারের অক্সটেডে। তার বাবা ছিলেন টুলমেকার, মা নার্স, যিনি স্টিলস রোগে আক্রান্ত তিনি। হাঁটতে পারেন না। কথা বলতে পারে না।

রেইগেট গ্রামার স্কুলে ভর্তি হওয়ার দুই বছরের মাথায় তা বেসরকারি হয়ে যায়। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তার ফি দিয়ে দিত স্থানীয় কাউন্সিল।  

স্কুল শেষে পরিবারের প্রথম হিসেবে স্টারমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখেন। প্রথমে লিডস ও তিনি অক্সফোর্ডে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৭ সালে স্টারমার ব্যারিস্টার হন এবং মানবাধিকার আইনে বিশেষত্ব যোগ করেন।

২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হোলবর্ন ও সেন্ট পানক্রাস থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। তিনি সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিনের ফ্রন্টবেঞ্চ টিমে তার ছায়া ব্রেক্সিট মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তিনি বলেন, দ্বিতীয় ইইউ গণভোটের কথা বিবেচনা করা উচিত।

২০১৯ সালের নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর স্যার কিয়ার স্টারমার ২০২০ সালের এপ্রিলে দলের নেতা হন।  

বিজয় ভাষণে তিনি লেবার পার্টিকে আত্মবিশ্বাস আর প্রত্যাশার সম্মিলনে নতুন এক যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

আল জাজিরা ও বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।