শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তাইওয়ান। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪।
বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের শহর হুয়ালিয়েনের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির পর আরও অন্তত নয়টি পরাঘাত হয়েছে তাইওয়ানে, যেগুলোর মাত্রা ৪ বা তারও বেশি ছিল।
ভূমিকম্পে হুয়ালিয়েনের কিছু ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়েছে। কিছু ভবনকে হেলে পড়তে দেখা গেছে।
স্থানীয় এক ভূতত্ত্ববিদ জানান, এটি তাইওয়ানের গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প।
চিপমেকিং প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর তারা তাদের কিছু কারখানা থেকে কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে।
ভূমিকম্পের মুহূর্তে রাজধানী তাইপেতে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনগুলো ভয়ানকভাবে কাঁপছিল। ঘরের তাক থেকে পড়ে যাচ্ছিল জিনিসপত্র। চুরমার হয়ে যাচ্ছিল আসবাবপত্র।
দেশটির পার্বত্যাঞ্চলের কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের কারণে সেখানে বড়সড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভূমিকম্পে আবাসিক ভবনগুলো দুলছিল। সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এছাড়া স্কুলগুলো থেকে সরিয়ে আনা হয় শিক্ষার্থীদের।
পুরো দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকস।
এ ভূমিকম্পের পর প্রতিবেশী দেশ জাপান সর্বোচ্চ ৩ মিটার উচ্চতার সুনামির সতর্কতা জারি করে তাদের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে। একইভাবে সুনামির সতর্কতা জারি হয় ফিলিপাইনেও।
তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র ভূমিকম্পের দুই ঘণ্টা পর আপডেট তথ্য জানিয়ে বলেছে, সুনামির ঝুঁকি কেটে গেছে এখন।
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুই হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়। বিধ্বস্ত হয় পাঁচ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
এইচএ/
বাংলাদেশ সময়: ৯:১৩ এএম, এপ্রিল ৩, ২০২৪ /