ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আল শিফায় আগ্নেয়াস্ত্র-গ্রেনেড মিলেছে, দাবি ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
আল শিফায় আগ্নেয়াস্ত্র-গ্রেনেড মিলেছে, দাবি ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল আল শিফায় আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড মিলেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার হাসপাতালটির বেজমেন্টে তল্লাশি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এ সময় সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড জব্দ করে তারা।

ইসরায়েলের দাবি, সেনা সদস্যদের কাছে অভিযোগ ছিল আল শিফার ভবনগুলোর ভূগর্ভস্থ টানেল করে অস্ত্র গুদামজাত করে রেখেছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। তারা সেখানে একটি কমান্ড সেন্টারও পরিচালনা করছিল।

এক ভিডিওতে দেখা যায়- আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, গোলাবারুদ ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট দেখাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলছে, অস্ত্রগুলো হাসপাতাল কমপ্লেক্সের একটি ভবন থেকে জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেও এসব তথ্য জানায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সুনির্দিষ্ট ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পদ্ধতিতে আল শিফায় তল্লাশি চালানো হয়। আরও তথ্য ও সম্পদ খুঁজে পাওয়া এবং হাসপাতালের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রকাশ করে দিতে আমাদের তল্লাশি জারি থাকবে।

আল শিফায় অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস। তা ছাড়া হাসপাতালের নিচে টানেলে হামাস কমান্ড সেন্টার করেছে এ দাবিও উড়িয়ে দিয়েছে তারা। হামাস বলছে, এসব দাবি পুরোপুরি মিথ্যা ও অপপ্রচার।

এক বিবৃতিতে হামাস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আল শিফা হাসপাতালে সামরিক অভিযানের জন্য দখলদার ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পূর্ণভাবে দায়ী। আল-শিফা হাসপাতালকে হামাস সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করছে— ইসরায়েলের এমন মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই হাসপাতালে অভিযান চালানোর জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে পেন্টাগন; আর তার ফলাফল চলমান এই অভিযান।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।