ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির দাবিতে দল থেকে ব্রিটিশ এমপির পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির দাবিতে দল থেকে ব্রিটিশ এমপির পদত্যাগ ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে নিজ দলের অবস্থান নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির এক এমপি। পদত্যাগকারী ইমরান হোসেন ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড ইস্টের এমপি।

মঙ্গলবার রাতে দলের প্রধানের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

ইমরান হোসেন বলেন, আমি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির জোর দাবি জানাচ্ছি। বিবেকের তাড়নায় আমি এখন আর পার্লামেন্টে ছায়ামন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে পারব না।  

ইমরান কর্মজীবীদের জন্য নতুন চুক্তির শ্রম ছায়া মন্ত্রিসভার দায়িত্বে ছিলেন।

প্রায় ৮ বছর ধরে লেবার পার্টির ফ্রন্টবেঞ্চের এমপি বলেন, আমি আমার ভূমিকা থেকে পদত্যাগ করেছি কারণ মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি দলের প্রধান কেয়ার স্টারমারের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

কেয়ার স্টারমারের কাছে দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি আপনার গৃহীত অবস্থানের পুরো উল্টো। রক্তপাতের অবসান ঘটাতে, গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছানো এবং এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুদ্ধবিরতি অপরিহার্য।

শনিবার অনুষ্ঠিতব্য যুদ্ধবিরতি দিবসে লন্ডনে ফিলিস্তিনিপন্থিদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে ব্রিটিশ এমপির এ পদত্যাগ।

বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব সতর্ক করে বলেছেন, গাজা 'শিশুদের কবরস্থানে' পরিণত হচ্ছে।  

ইমরান হোসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি চিঠিতে লিখেছেন, সংকট সমাধানের পরিপ্রেক্ষিতে, আমি একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য একজন শক্তিশালী ভূমিকাপালনকারী হতে চাই। এটা স্পষ্ট যে, আমি বিবেকের তাড়নায় সামনের বেঞ্চ থেকে এটির বর্তমান অবস্থানের ভিত্তিতে এটি করতে পারি না।

কেয়ার ‘মানবিক বিরতি’র জন্য সরকারের আহ্বানকে সমর্থন করেছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সমর্থন করে, তবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন করা বন্ধ করে দিয়েছে।

কেয়ার বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস উৎসাহিত হবে এবং ভবিষ্যৎ সহিংসতার জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে।

গাজাভিত্তিক হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালালে যুদ্ধ শুরু হয়। সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। হামলার জবাবে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইসরায়েল তীব্র হামলা শুরু করে এবং গাজায় স্থল আক্রমণ চালায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি যুদ্ধে নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ছিল।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।