ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নেপালের এনসেল অধিগ্রহণ করল আজিয়াটা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
নেপালের এনসেল অধিগ্রহণ করল আজিয়াটা

ঢাকা: নেপালের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর এনসেল প্রাইভেট লিমিটেড (এনসেল) অধিগ্রহণের মাধ্যমে দেশটির টেলিযোগাযোগ বাজারে প্রবেশ করলো এশিয়ার অন্যতম টেলিযোগাযোগ কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ।

 

টেলিযোগাযোগ খাতে বিস্তর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা, দক্ষিণ এশিয়ায় সাফল্যের রেকর্ড ও কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে নেপালকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে আজিয়াটা।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের রবি আজিয়াটা লিমিডেট।

আজিয়াটার প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার দাতো শ্রী জামালুদ্দিন বলেন, নেপালের শীর্ষ ও সুসংগঠিত অপারেটটির সিংহভাগ অধিগ্রহণের মাধ্যমে আজিয়াটা দেশটির টেলিযোগাযোগ খাতের বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে।

সফলভাবে অধিগ্রহণ শেষ হওয়ায় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত মালয়েশিয়া ও নেপালের সরকারি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

তিনি বলেন, তরুণদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটির টেলিযোগাযোগ বাজারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মানসম্মত ইন্টারনেটসহ আকর্ষণীয় পণ্য ও সেবা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে আজিয়াটার।

‘দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ রয়েছে আমাদের। পাশাপাশি কর্পোরেট দায়বদ্ধতা ও সুশাসনের দিকে শ্রদ্ধাবোধ থেকে নেপালের সরকার ও সুশীল সমাজের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে দেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবো আমরা’।

এখন এনসেলে আজিয়াটার ৮০ শতাংশ এবং স্থানীয় অংশীদার সুনিভারা ক্যাপিটাল ভেঞ্চারস প্রাইভেট লিমিটেডের (সুনিভেরা) ২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। এ অধিগ্রহণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের টেলিযোগাযোগ বাজারে দৃঢ় অবস্থান তৈরি হলো আজিয়াটার।     

এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হিসাবে আজিয়াটা গ্রুপ ১০টি দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করছে।

মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেশনে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা ও ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে সেরা সংযোগ, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ কাজে লাগিয়ে এশিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আজিয়াটা।

মালয়েশিয়ায় ‘সেলকম’, ইন্দোনেশিয়ায় ‘এক্সএল’, শ্রীলঙ্কায় ‘ডায়ালগ’, বাংলাদেশে ‘রবি’, কম্বোডিয়ায় ‘স্মার্ট’, নেপালের ‘এনসেল’ এবং কৌশলগত অংশীদার হিসাবে ভারতে ‘আইডিয়া’ ও সিঙ্গাপুরে ‘এমওয়ান’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আজিয়াটা।

‘ইডটকো’ নামে গ্রুপের একটি টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো কোম্পানি রয়েছে, যা ৫টি দেশে পরিচালিত হচ্ছে এবং যার আওতায় রয়েছে ১৬ হাজার টাওয়ার ও ১২ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক। এর লক্ষ্য এ অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ টাওয়ার কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং দায়িত্বশীল ও স্থিতিশীল ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসার প্রসারে আজিয়াটা ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছে আজিয়াটা ডিজিটাল (এডি)। প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যে এডিস ২৮টি ডিজিটাল ব্র্যান্ড চালু করেছে যার মধ্যে রয়েছে মোবাইল মানি, মোবাইল বিজ্ঞাপন, ই-কমার্স, বিনোদন ও শিক্ষা।

প্রতিশ্রুতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ২৫ হাজার মানবসম্পদ নিয়োগ করেছে আজিয়াটা। স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে গ্রুপ তরুণ মেধাবীদের উন্নয়ন এবং দুর্যোগকালীন পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমের ওপর জোর দিচ্ছে।        

বাংলাদেশ সময়: ১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।