ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

মমতার জয়ে এখনো চুপ মোদী-অমিত শাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২১
মমতার জয়ে এখনো চুপ মোদী-অমিত শাহ

কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাট জয়ের পর বিভিন্ন মহল থেকেই প্রতিক্রিয়া আসছে। মমতাকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও বিজেপির অধুনা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

কিন্তু চুপ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।  

রোববার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে মমতার জয় নিশ্চিত হয়। এরপর থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়াই দিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বড় সাফল্যের পর তৃতীয় বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহনের দিন অবশ্য মমতাকে টুইটে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন মোদী।  

মমতাও অনুযোগের সুরে বলেছিলেন, ‘এই প্রথম দেখলাম কোনো প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করলেন না। ’ যদিও গত বিধানসভায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে দাড়িয়ে হেরেছিলেন মমতা। প্রতিপক্ষ ছিলেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাজ্যে ২১৩টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। সেই জয়ের পরও বাংলার তৃতীয় বারের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করে শুভেচ্ছা না জানানো স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছিল রাজনৈতিক মহলের।

নন্দীগ্রামে পরাজয়ের পরও মমতা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ায় তাকে আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে কোনো একটি কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদে জিততেই হতো। সেদিক দিয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার এই বিরাট জয় যে তৃণমূলের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট। প্রিয়ঙ্কা এবং সুকান্ত মমতাকে শুভেচ্ছা জানালেও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

শুধু মোদী-শাহই নন, গান্ধী পরিবারের তরফেও মমতার উদ্দেশে কোনো শুভেচ্ছা বার্তা সামনে আসেনি। গত বিধানসভার পর তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে গত জুলাই মাসে দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন মমতা। সেই সময়ে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ১০, জনপথে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে ওই বৈঠক বিজেপি বিরোধী জোটের জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছিল।

কিন্তু এই ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে লাগাতার কংগ্রেসকে তৃণমূল নেতৃত্বের আক্রমণ সেই জল্পনায় জল ঢেলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে মমতার জয়ে সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীর চুপ থাকাও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রোববার সকালেই ভোট গণনা চলাকালীন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব টুইটে লিখেছেন, ‘এই জয় মমতা দিদির জয়। এই জয় সত্যের জয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।