ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় জলাবদ্ধতা, বৃষ্টি থাকবে মঙ্গলবার পর্যন্ত 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
কলকাতায় জলাবদ্ধতা, বৃষ্টি থাকবে মঙ্গলবার পর্যন্ত  ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে তলিয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক জেলা। এ ঘটনায় কলকতার বেশ কয়েকটি সড়কে যানচলাচলও বন্ধ রয়েছে। 

স্থানীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, কলকাতাসহ রাজ্যের সর্বত্রই যে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে, তা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে।  

আলিপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা গণেশ দাস বলেন, গুজরাট থেকে বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, তার জেরে টানা ৪৮ ঘণ্টা কলকাতা, হাওড়া, হুগলিসহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি মৌসুমে কলকাতায় এটাই সবচেয়ে ভারি বৃষ্টি।

জানা গেছে, টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি কলকাতার কয়েকটি রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদীর পানিও। জলাবদ্ধতার কারণে এসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।  

স্থানীয় লোকজনের তথ্যমতে, শনিবার রাতের ভারি বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হেয়ছে বেহালার শীলপাড়া, পর্ণশ্রী, বীরেন রায় রোড, ঠাকুরপুকুর, কদমতলাসহ আশপাশের এলাক‍ায়।  

পুরসভার তরফ থেকে পাম্প চালিয়ে অন্যত্র পানি সরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জল‍াবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলুটোলা রোড, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, খিদিরপুর,  একবালপুর ও গার্ডেনরিচের একাংশেও।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে বীরভূমের ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, কেশপুর ও ক্ষীরপাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি জমে গেছে। ঘাটাল-চন্দ্রকোণা রোডের উপর দিয়ে বইছে শিলাবতী নদীর পানি।  

আর পানি জমে থাকায় কেশপুর-মেদিনীপুর রোড এবং ক্ষীরপাই-আরামবাদ রোডে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ঘাটালের বেশ কিছু রাস্তায় নৌকা চলছে।  

প্রশাসন সূত্র জানায়, পানির স্তর বেড়েছে শিলাবতী ও কাঁসাই নদীতে। কলকাতায় তুমুল বৃষ্টি।  টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাভপুর। বেশ কিছু গ্রামে ঢুকেছে কুয়ে নদীর পানি। তবে শনিবার (২২ জুলাই) রাতে ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানির স্তর কমেছে।  

এর মধ্যেই লাভপুরে বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে যায়। রাস্তায় পানি থাকায় সিউড়ির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।  

তবে লাভপুর জেলাশাসক পি মোহন গাঁন্ধী বলেছেন, বিভিন্ন এলাক‍া প্লাবিত হলেও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  

প্রবল বৃষ্টিতে বঙ্গোপসাগরের দিঘায় জলচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে কাঁথি, এগরা, হলদিয়া, পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।  

সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সমস্ত ফ্লাড সেন্টারে সর্বক্ষণের জন্য সরকারি কর্মীদের রাখা হয়েছে। সমুদ্র বা নদীতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।