কলকাতা: দীর্ঘ আড়াই বছর ভারতের জেলে থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদার। একই সঙ্গে জামিন পেয়েছেন উত্তম মিত্র ওরফে উত্তম কুমার মিস্ত্রি।
তবে জামিনের সঠিক নথি না থাকায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মুক্তি পাননি স্বপন মিত্র ওরফে স্বপনকুমার মিস্ত্রি। এদিন জেল থেকে বের হয়েই পি কে হালদার বলেন, আমি এখন কিছু বলব না। পরে বলব। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে জানাব।
এর আগে, শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অন্তর্গত নগর দায়রা আদালতের বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় জামিন মঞ্জুর করেছিলেন পি কে হালদার, উত্তম মিস্ত্রি ও স্বপন মিস্ত্রির।
প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপির বিনিময়ে জামিন মনজুর করেছিলেন আদালত। একইসঙ্গে শর্ত দেওয়া হয়েছিল মামলা চলাকালীন তাদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এমনকি রাজ্য বা দেশ ত্যাগ করা যাবে না। ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন পি কে-র ভাই প্রানেশ হালদার, আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও ইমন হোসেন।
বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয়জন ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এরপর একে একে ৫ জন অভিযুক্তকে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তারপর থেকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা চলায় পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষকে রাখা হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানাকে রাখা হয়েছিল কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।
২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত পি কে হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন এবং তিনি ছাড়া অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কিন্তু পি কে হালদার ভারতে বন্দি থাকায় সেই রায় কার্যকর হয়নি। এমনকি সেই রায়ের কপি ভারতের আদালতে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান ইডির আইনজীবী অরজিৎ চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
ভিএস/আরএইচ