ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি: সিন্দিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি: সিন্দিয়া

আগরতলা (ত্রিপুরা): জনজাতি গৌরব দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আগরতলায় এসেছেন ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়া। রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে তিনি মহাকরণে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন।

ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, অন্যান্য মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা।

বৈঠক শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ১০ বছর আগে এ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ২৪ হাজার কোটি রুপি বাজেট বরাদ্দ করা হতো, কিন্তু এখন তা বেড়ে এক লাখ তিন হাজার কোটি রুপি করা হয়েছে। গত ৬৫ বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাত্র ১০ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছিল, এ পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারের সময় সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি করা হয়েছে। একইভাবে ট্রেন যোগাযোগ পরিষেবায় যেখানে আগে একটি রাজ্যে ট্রেনের যোগাযোগ ছিল, বর্তমানে তিনটি রাজ্যে তা উন্নীত করা হয়েছে। আগামী দিনে উত্তর-পূর্বের সবকটি রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে। একইভাবে হাওয়াই যোগাযোগ ব্যবস্থাতে উন্নতি করা হয়েছে। আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুটি রাজ্যের বিমানবন্দরই ছিল না। বাকি রাজ্যে মোট নয়টি বিমানবন্দর ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ১৭টি করা হয়েছে। গত ১০ বছরে এসব কাজ হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় শিল্প কারখানা স্থাপনেও আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফেও অনেক বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
এসসিএন/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।