ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মাতৃভাষা দিবসে রক্ত দিলেন কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
মাতৃভাষা দিবসে রক্ত দিলেন কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা

কলকাতা: শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সঙ্গে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে কলকাতা। এ উপলক্ষে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শাখা সংগঠনগুলো।

২১ ফেব্রুয়ারি, মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা এবং ভাষা শহীদদের স্মরণ করল কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রতীকী শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা এবং রক্তদানের মধ্য দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবার। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একাত্ম হয়ে ওঠে দুই বাংলা।

প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে, প্রতীকী শহীদ বেদীতে, ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানান সবাই। শ্রদ্ধা জানান কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ও মিশনের সব কর্মকর্তা।

ডেপুটি হাইকমিশনারও রক্ত দিয়েছেন।

হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, কলকাতার অনেক স্থানেই ভাষা দিবস পালন করা হয়। বহু অনুষ্ঠানে আমরা গিয়ে থাকি। কিন্তু ভাষাকে ভালোবেসে রক্তদান, এখনও আমি কলকাতায় দেখিনি। যা আমার মন ছুঁয়ে গেছে।  

অনুষ্ঠানের আয়োজনে আপ্লুত কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আর এন টেগোর (নারায়ণা হেল্থ গ্রুপ) কর্তৃপক্ষও। হাসপাতালে রোগী বিভাগের দায়িদ্বপ্রাপ্ত জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, বহু এলাকায় রক্তদান শিবির করে থাকি। কিন্তু ভাষাকে ভালোবেসে ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের এ আয়োজন কলকাতায় নতুন।

দুই বাংলার গণমাধ্যম কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব। সদস্যদের অভিমত, মা এবং মাতৃভাষার বিকল্প হয় না। ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণের (রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব) মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, আমরা সেই ভাষণকেই উপজীব্য করে রক্ত দিলাম।

এর আগে সকালে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এক প্রভাতফেরির আয়োজন করে। যা শুরু হয় বাংলাদেশ গ্রন্থাগার অর্থাৎ কলকাতার পার্কসার্কাস ময়দান থেকে এবং শেষ হয় কলকাতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণিতে অবস্থিত উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে।

প্রভাতফেরিতে পা মেলান উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশিষ্টজনেরা। পা মেলান কলকাতার বাংলা ভাষাপ্রেমী মানুষ, লেখক, বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষার্থীরাও। অনেককেই শহরের ব্যস্ত রাজপথে খালি পায়েও হাঁটতে দেখা যায়। প্রভাতফেরি শেষে মিশন প্রাঙ্গণে শহীদ বেদীতে ফুল দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান কলকাতা শাখা বাংলাদেশ বিমানের মতো প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব, কলকাতা প্রেসক্লাবসহ শহরের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তার আগে সকালে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত করে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এছাড়া সন্ধ্যায় মিশন প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ভাষাভাষী শিল্পীদের নিয়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এসব অনুষ্ঠান ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা কর্পোরেশন, রবীন্দ্রভারতী, বিশ্বভারতী, ভাষা ও চেতনাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, ক্লাব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। দিনটিতে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ছুটি না থাকলেও শ্রদ্ধা এবং উৎসবের মিশেলে যেন এক অঘোষিত ছুটি পালন করেছেন কলকাতাবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
ভিএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।