ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘জাতির জনকের সোনার বাংলার কারিগর চিকিৎসকরা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
‘জাতির জনকের সোনার বাংলার কারিগর চিকিৎসকরা’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়তে সুস্থ সবল জাতি দরকার। সেটার কারিগর চিকিৎসকরা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করে উন্নত দেশের কাতারে যেতে স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৩৯তম বিশেষ (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত চার হাজার ৪৪৩ জন চিকিৎসকের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

জাহিদ মালেক বলেন, আড়াই বছর আগে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসে বলেছিলাম, আমাদের চিকিৎসক সংকট।

তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কতজন নিয়োগ দিলে সংকট কাটবে? আমি তাকে বলেছিলাম, আট থেকে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিলে মোটামুটি সংকট কাটবে। তখন তিনি বলছিলেন, ঠিক আছে। ফাইল পাঠিয়ে দাও। এ কথার শোনার পরদিনই চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেই। পরে দু’দিনের মধ্যেই ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ফাইলে সই করেন তিনি। আজ যারা যোগদান করলেন সেটার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর।  

চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে থাকে, তাদের সেবা দিতে হবে। দুঃখী-মেহনতি মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।  

তিনি বলেন, দুপুরে একজন রোগী হাসপাতালে এসে দেখেন চিকিৎসক নেই, এ পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না।  

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের দ্বারপ্রান্তে। দেশে খাদ্য সংকট নেই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল উন্নয়ন হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট শেখ হাসিনার নামে করা হয়েছে। অনেক মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতি উপজেলায় চিকিৎসকদের একটি করে গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে। গ্রামের লোক যদি ভালো না থাকে, তাহলে শহর ভালো থাকবে না। যখন দেশে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, তখন চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে তাদের বাঁচাতে চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসকরাই মানুষের বিপদের বড় বন্ধু।  

প্রত্যেক চিকিৎসককে একজন নেতা হিসেবে কাজ করার ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, হাসপাতালে যন্ত্রপাতি, ওষুধ আছে কী না, সেটাও আপনাদের দেখতে হবে। মানুষের স্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হবে। না পারলে আপনি লিডারশিপ থেকে পিছিয়ে গেলেন।

তিনি বলেন, আপনাদের কোনো দাবি জানানো লাগবে না, আমরাই সেটি করে দেবো। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়, জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়তে সুস্বাস্থ্য দরকার, সেটার কারিগর আপনারা।  

অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন নাই, রাত নাই দেশে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যিনি তোমাদের (চিকিৎসক) জন্য এতো কিছু করছেন, তিনি তোমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে হবে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো, তাহলে এদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। যদি মনে করো, চাকরি পেয়েই দায়িত্ব শেষ, সেটা হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে চিকিৎসকদের সেবা দিতে হবে।  
 
স্বাস্থ্যসেবা সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচীপ) সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব এম এ আজিজ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান ও ৩৯তম বিশেষ স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. নিলীমা ইয়াসমিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
টিএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।