ঢাকা, রবিবার, ২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম সারাতে ৪ খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম সারাতে ৪ খাবার

ঢাকা: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস নারীদের সাধারণ সমস্যার মধ্যে একটি। এর সূত্রপাত নারীদের ওভারিতে হওয়া ছোট সিস্টের মাধ্যমে।

কিন্তু পরবর্তীতে এটি বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে।

এছাড়াও এটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, পিরিয়ড ও গর্ভধারণে সমস্যা ছাড়াও চুল পড়ে যাওয়া, শরীরে অতিরিক্ত লোম গজানোসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি করে।

এর দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল হলো ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও জরায়ুর ক্যান্সার।

পলিসিস্টিক ওভারিতে সিস্ট আক্রান্ত হলে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

সবুজ পাতাযুক্ত সবজি

undefined


সবুজ পাতাযুক্ত সবজির প্রতি ক্যালরিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। এগুলো উচ্চমানের লোহা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। আরও রয়েছে ভিটামিন কে, সি, ই ও বি। এসব ভিটামিনের মধ্যে বি ভিটামিন আলাদাভাবে পিসিওএস’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ভিটামিন শর্করা ও চর্বি বিপাকে সহায়তা করে, থাইরয়েড ফাংশন ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এক কথায়, পলিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উৎকৃষ্ট হলো, ভিটামিন বি।

ফল

undefined


ফল ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। পিসিওএস রোগীদের ডায়েট মেন্যুতে পর্যাপ্ত ফল থাকা জরুরি। যেসব ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম সেসব ফল খেতে পারেন। যেমন- আম, আপেল, কলা, খেজুর, আঙুর, চেরি, পেয়ারা, লেবু, কমলা, নাশপাতি ইত্যাদি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ব্যক্তির ব্লাড সুগার লেভেলের ওপর প্রভাব ফেলে।

রঙিন সবজি

undefined


রঙিন ফলমূলে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা পিসিওএস আক্রান্ত নারীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, এ রোগে রোগীর মধ্যে প্রচুর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দেখা দেয়। অতিরিক্ত ফ্রি রেডিক্যালসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় এ শরীরবৃত্তীয় চাপ তৈরি হয়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে প্রয়োজন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রঙিন সবজি খাওয়া।  

ভালো ফ্যাট

undefined


সব ফ্যাট ক্ষতিকারক নয়। ফ্যাটি এসিড কোষপ্রাচীরের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উপাদান। যা পুষ্টিকে শরীরে প্রবেশ করায় ও টক্সিক উপাদানকে বাইরে বের করে দেয়। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায়, সঠিক ওজন ও  প্রজজন ক্ষমতা বাড়াতে এটি অত্যাবশ্যক। ভালো ফ্যাটের উৎস হচ্ছে- বাদাম, অলিভ অয়েল, ডিম, অ্যাভোকাডো, পিনাট বাটার ও মাছ।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।