ঢাকা, বুধবার, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ রজব ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন শরীয়তপুরের ১ হাজার মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৫
বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন শরীয়তপুরের ১ হাজার মানুষ

শরীয়তপুর: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসির আয়োজনে এবং সালেহা মমতাজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় শরীয়তপুরের প্রায় এক হাজার মানুষকে নিখরচায় চোখের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) শরীয়তপুরের বুড়িরহাট বাজার সংলগ্ন সালেহা মমতাজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

 

দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে সদর উপজেলার রুদ্রকর, ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের এক হাজার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সালেহা মমতাজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী মহিবুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কিশোয়ার জাবিনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- শরীয়তপুর সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরুল হক মুন্সী। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ডা. নুসরাত লুবনা এবং ক্যাম্প অর্গানাইজার আবু তৈয়বের নেতৃত্বে আটজনের একটি দল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেন। এসময় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। আর বেশ কয়েকজনকে ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।  

চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল আলীম বলেন, এক বছর ধরে দূরের বস্তু কম দেখি। দেখতে অনেক কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে ব্যথাও হয়। অনেকবার ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু সমস্যা দূর হয় নাই। টাকাও অনেক খরচ হইছে। আজ ঢাকা থেকে ডাক্তার এসে আমাকে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে। চোখে সমস্যা দেখে আমাকে চমশা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। বিনামূল্যে ওষুধ আর চশমাও দিয়েছে।

জুলেখা বেগম বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। ভালো ডাক্তার দেখাতে টাকার প্রয়োজন হয়। চোখে সমস্যার কারণে অনেকবার ডাক্তার দেখালেও সমস্যা দূর হয় নাই। লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ বসুন্ধরা আই ক্যাম্পে এসে চোখের ডাক্তার দেখাইছি। কোনো টাকা নেয় নাই, ফ্রি ওষুধও দিছে।

স্বেচ্ছাসেবক নাজমুল বেপারী, নাঈম সরকার ও শাহাদাত হোসেন বলেন, যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে, সবাইকে ফ্রি চিকিৎসার সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধ ও চশমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদের অপারেশনের প্রয়োজন, তাদের বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ডা. নুসরাত লুবনা বলেন, পাঁচ শতাধিক রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

সালেহা মমতাজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী মহিবুর রহমান বাবু ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কিশোয়ার জাবিন বলেন, আমরা সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সারা বছরই আমরা এ অঞ্চলের মানুষকে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আর গ্রামের সাধারণ মানুষকে চোখ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে আমাদের এ উদ্যোগ। গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ ও চশমা বিতরণ করায় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং লংকাবাংলা ফাইনান্স পিএলসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৫
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।