ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকিৎসককে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল বিপিএ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
চিকিৎসককে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল বিপিএ

ঢাকা: ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদারের ‘আপত্তিকর ও অপমানজনক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি ডা. প্রদীপ কুমার সাহা।

তিনি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর ডিপিআরসি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের হয়রানির উদ্দেশে ডা. সফিউল্লাহ প্রধানকে ডাক্তার পদবি ব্যবহার নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন যা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়। এতে ফিজিওথেরাপি পেশাজীবীদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকগণ মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী (ডা.) পদবি ব্যবহার করছেন। পরিচালকের বক্তব্যে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনকে অবমাননা করা হয়েছে।

বক্তব্যে ডা. প্রদীপ কুমার সাহা উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অস্থায়ী ফিজিওথেরাপিস্ট নিবন্ধন কার্যালয় থেকে স্বীকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের ‘ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশাদার’ হিসেবে অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন সনদ প্রদান করেন।

২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালক প্রশাসন (স্মারক নং ১৪৩/১১/৮২১২) থেকে বাংলাদেশের সকল সিভিল সার্জনদের চিঠি দেওয়া হয় যাতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের পেশাগত কাজে হয়রানি করা না হয়, যা সকল জেলা প্রশাসকদের অবহিত করতে বলা হয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি বিএমডিসি আইন ২০১০ - এর বিরুদ্ধে রিট আবেদন করলে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন স্বীকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের নামের আগে (ডা.) পদবি লিখে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাতে যেকোনো আইনগত সংস্থা থেকে হয়রানি করা না হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকসহ সকল রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনারদের নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ নামে একটি আইন পাস হয়।

প্রদীপ কুমার সাহা জানান, জাতীয় সংসদে পাসকৃত ফিজিওথেরাপিস্টসহ অন্যান্য রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার ও রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ অনুযায়ী পরিচালিত হবে, বিএমডিসি অ্যাক্ট-২০১০ দিয়ে নয়। অথচ প্রায় সময়ই বিএমডিসি অ্যাক্ট -২০১০ এর ক্ষমতা বলে ফিজিওথেরাপিস্টদের হয়রানি করা হয়।  

তাই তিনি রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার ও ফিজিওথেরাপিস্টদের হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিএ’র মহাসচিব ডা. তৌহিদুজ্জামান লিটু, সহসভাপতি ডা. আরিফ জোবায়ের, সহসভাপতি ডা. মহসীন কবির লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং বিপিএর সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আলাউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।