ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

অধিনায়কের হ্যাট্রিকে শাহীন আসমায়ীর দুর্দান্ত জয়

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
অধিনায়কের হ্যাট্রিকে শাহীন আসমায়ীর দুর্দান্ত জয় গ্যালারিতে উল্লসিত দর্শক, ছবি:উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ

এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে: দলকে কীভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয় তা দেখিয়ে দিলেন শাহীন আসমায়ীর অধিনায়ক আমিরুদ্দিন। তার ‘পায়ের’ কল্যাণে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ এবারের আসরে প্রথম হ্যাট্রিক দেখল। আমিরুদ্দিনের ওই তিন গোলেই নেপালের মানাং মারসিয়াংদিকে উড়িয়ে দিল শাহীন আসমায়ী।

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বুধবার বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া এই ম্যাচে শুরু থেকে দুদলই ছিল সমানে সমান। তবে সময় যতই বাড়তে থাকে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে শাহীন আসমেয়ীর ফুটবলাররা।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে শাহীন আসমায়ী একটি পরিকল্পিত আক্রমন থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করে।

মিডফিল্ডার ফারদিনের মাঠের বামপ্রান্ত থেকে নেওয়া ক্রস থেকে ডি বক্সে পান স্টাইকার ফায়েজি। তবে তার নেওয়া শটটি মানাং মারসিয়াংদির রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কামালের পায়ে লেগে ফিরে আসে শাহীন আসমায়ীল অধিনায়ক আমিরুদ্দিনের পায়ে। আমিরুদ্দিনের শটটি প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের গায়ে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় শাহীন আসমায়ী।

৩৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় শাহীন আসমায়ী। মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আনোয়ারের ক্রস থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নেন। সেই শটটি ঠাঁই করে নেয় জালে-ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় শাহীন আসমায়ী। কিন্তু আফগানদের উল্লাস মাত্র একমিনিটের থামিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল মানাং মারসিয়াংদির। পাল্টা আক্রমন থেকে বল পেয়ে ৪০ মিনিটে হেড করেন নেপাল অধিনায়ক অনিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার নেওয়া শটটি ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে যায়। এক শূন্য গোলে পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধ্ শেষ করে নেপালী ক্লাবটি।

দ্বিতীয়ার্ধে শাহীন আসমায়ী গোল বাড়াতে ও মারসিয়াংদি গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে নেপালীদের হতাশ করে ৬৫ মিনিটে আবার গোল দ্বিগুণ করেন শাহীন আসমায়ীর অধিনায়ক আমিরুদ্দিন। মধ্যে মাঠ থেকৈ বল পেয়ে ‘রোনালদো’ গতিতে রক্ষণভাগে ঢুকে পড়ে ডান পায়ে নেওয়া জোরালো শটটি প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে স্থান করে নেয় জালে।

অধিনায়কের হ্যাট্রিকে শাহীন আসমায়ীর দুর্দান্ত জয়

তবে ৭২ মিনিটে এক গোল পরিশোধ করে ব্যবধান কমায় মানাং। কর্নার কিক থেকে বলকে মাথায় ছুঁইয়ে গোল ব্যবধান ২-১ করেন বিমল। কিন্তু এরপরের মিনিটেই আবারও নেপালীদের জন্য হতাশ। পাল্টা আক্রমন থেকে বল পেয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে গোলপোস্টে বল বাড়ান হাকিমী। সেটি ফেরত পাঠাতে গিয়ে ভুল করে বসেন মানাংয়ের আদমার। বল তার হাত স্পর্শ করে। ফলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি মিজানুর রহমান। সেই পেনাল্টি শট থেকে নিজের হ্যাট্টিক এবং দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন আসমায়ী অধিনায়ক আমিররুদ্দিন।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রেফারিং ও দুর্ভাগ্যকে দুষলেন মারসিয়াংদির কোচ চিরিং লোপসাং। তিনি বলেন, লাইনম্যান দেখেও আমাদের পক্ষে একটি ফাউল দেন। পাশাপাশি আমাদের নেওয়া একটি নিশ্চিত গোলের শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। এটি হলে আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম। ’

অন্যদিকে নিজ দলের ফুটবলারদের প্রশংসায় ঝরিয়েছেন শাহীন আসমায়ীর কোচ বয়র ইজামবেরডিয়েভ। তিনি বলেন, ‘আমার যা প্রত্যাশা ছিল ছেলেরা তা মাঠে দেখাতে পেরেছে। আমি আমার দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব খুশী। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।