ঢাকা, শনিবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

ফিচার

সমুদ্রতলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিন যুদ্ধ বিমান

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৬
সমুদ্রতলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিন যুদ্ধ বিমান

ঢাকা: অনেক ফাইটার প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভূপাতিত হয়ে। যার অনেকগুলোর অবশিষ্টাংশ এখনও রয়েছে সমুদ্রের গভীরে।

এক সময়কার শক্তিশালী এমন তিনটি যুদ্ধ বিমান এখন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের সলোমন দ্বীপ উপকূলে সুপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইতিহাসের গন্ধ মেশানো প্লেনের গায়ে জন্মেছে সামুদ্রিক শৈবাল আর প্রবাল।

undefined


১৯৪৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলাকালে জাপানিজ মিতসুবিশি এ৬এম জিরো লং রেঞ্জার জঙ্গি বিমান, আমেরিকা গ্রুমান এফ৬এফ ৩-হেলক্যাট ও একটি বোয়িং বি-১৭ ফ্লাইং ফোর্ট্রেস হারিয়ে যায়।

undefined


শক্তিশালী প্লেনগুলো সময় পরিক্রমায় সাগরতলে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। মরিচা ধরা দেহাবশেষে জন্মেছে রঙিন প্রবাল। কোনো কোনো প্লেনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে ক্রুদের দেহাবশেষও।

undefined


হেলক্যাটকে দ্বিতীয় বেটসি বলে ধারণা করা হয়। ১৯৪৩ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর সলোমনের বালাল দ্বীপে একটি আক্রমণ চলাকালে এটির ইঞ্জিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

undefined


বোয়িং বি-১ জুলাইয়ের ১১ তারিখে পাপুয়া নিউ গিনির রাবাউলে বোমা হামলার পর খারাপ আবহাওয়ায় পড়ে নিখোঁজ হয়। তিনটি প্লেনই সলোমন দ্বীপ ক্যাম্পেইংয়ে হারায়।

undefined


এ ক্যাম্পেইং ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ অভিযান যা ১৯৪২ সালের শুরুর দিকে পাপুয়া নিউ গিনির সলোমন দ্বীপপ‍ুঞ্জ ও বিউগেনভিলে জাপানিজরা অবতরণ ও দখল নেওয়ার পর শুরু হয়।

undefined


ধ্বংসপ্রাপ্ত প্লেনগুলোর ছবি তুলতে কানাডিয়ান আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ক্রিস্টোফার হ্যামিলটন একটি ডাইভিং অভিযানে সলোমন দ্বীপপুঞ্জে যান। এর আগে এসব ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব কেবল স্থানীয় লোকেরাই জানতো।

undefined


হ্যামিলটন জানান, তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুর্গম ও বিস্মৃত কিছু ধ্বংসাবশেষের খোঁজে নিউজিল্যান্ড থেকে ভানুয়াতু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও পাপুয়া গতিপথে ছয়মাসের একটি সমুদ্রযাত্রার পরিকল্পনা করেছিলেন।

undefined


এসব যুদ্ধ বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিলো যদি স্থানীয়রা তাকে সাহায্য না করতো। জানান ৩৪ বছর বয়সী এ ফটোগ্রাফার।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।