ঢাকা: চকলেট খেতে কে না ভালোবাসে? ছেলে-বুড়ো সবার মধ্যেই রয়েছে চকলেটপ্রীতি। এক টুকরো চকলেট মুখে পুরলেই মন ভালো হয়ে যায়।
এখন থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে আবিষ্কার হয় চকলেট। মধ্য আমেরিকায় আবিষ্কৃত মজাদার এ খাবারটি সেকালে এতো মিষ্টি ছিলো না। ওই সময় চকলেট বার বলে কিছু ছিলো।

undefined
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পানীয় হিসেবে পান করা হতো চকলেট। অার চকলেটের এই পানীয় বহন করতো ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদা। সম্ভ্রান্ত প্রভাবশালীরা এ পানীয় পান করতেন।
কোকো চকলেট তৈরির উৎস। কোকো গাছ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ১১শ সালে হন্ডুরাসের পুয়ের্তো এস্কোনডিডোর একটি মৃৎপাত্র বহনকারী জাহাজে পাওয়া যায় এ উপাদান।

undefined
এরও অন্তত পাঁচশো বছর আগে কোকোর ব্যবহার ছিলো বলে নথিভুক্ত রয়েছে। মেসোআমেরিকায় ইউরোপীয়রা আসার আগে এটি ছিলো বিলাসবহুল গুরুত্বপূর্ণ পণ্য।
কোকোর বীজ থেকে উৎসবে পানের জন্য একপ্রকার পানীয় বানানো হতো যা মেক্সিকোর সম্ভ্রান্ত অ্যাজটেকস ও অন্য সভ্যতার এলিট সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলো। এছাড়াও মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো কোকোর বীজ।

undefined
পরে ১৬ শতকে স্প্যানিশরা অ্যাজটেকস সাম্রাজ্য দখল করলে সম্রাটের প্রাসাদে কোকোর বীজের পানীয় পরিবেশন করা হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, পুয়ের্তো এস্কোনডিডোতে প্রচলিত কোকো বেভারেজ তৈরি হতো কোকো বীজ থেকে সঙ্গে মেশানো হতো মিষ্টি।
গবেষকদের একজন নিউ ইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটির নৃ-বিজ্ঞানী জন হেন্ডারসন জানান, কোকো থেকে তৈরি বিয়ারের পানীয় থেকেই শুরু হয় চকলেট উন্মাদনা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৬
এসএমএন/এএ