ঢাকা: ভাস্কর্য বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কঠিন পাথর ঠোকা সুদৃঢ় এক নির্মাণ। কিন্তু ভঙ্গুর আর গলনশীল বরফের ভাস্কর্য যেন বিস্ময়ের ঘোর লাগিয়ে দেয়!
শীতপ্রধান দেশগুলোতে বরফের ভাস্কর্যের প্রদর্শনী হয়ে থাকে।
সেদেশে উৎসবটি ১৯৬৩ সালে প্রথম শুরু হয়। এরপর দেশটির সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় অনিয়মিতভাবে চলতে থাকে এবং ১৯৮৫ সাল থেকে নিয়মিত হয়। ২০০১ সালে হার্বিন আইস ফেস্টিভ্যাল, হেইলংজিয়াং স্কি ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে যোগ হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফের ভাস্কর্য উৎসবের খেতাব পায়।
প্রতিবছর মাসব্যাপী এ আয়োজনটি জানুয়ারির ৫ তারিখে শুরু হয়। এবছর চলছে উৎসবটির ৩১তম উদযাপন।
ভাস্কর্যগুলো জমাট বাঁধা তুষার কিংবা পাশ্ববর্তী সংঘুয়া নদী থেকে তুলে আনা বরফের চাঁই থেকে তৈরি করা হয়। কৃত্রিমভাবে বরফ তৈরি করেও বানানো হয় ভাস্কর্য। শিল্পীরা মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের হাড়কাঁপা শীতের মধ্যে ভাস্কর্যগুলো বানিয়ে থাকেন।
চলুন ছবিতে ঘুরে আসি বরফের ভাস্কর্য উৎসব।
undefined
বরফের প্রাসাদ, ফটকে দাঁড়ানো বরফের ঘোড়া-গাড়ি!
undefined
কোটি দর্শকের বিস্ময় জাগানিয়া বরফ কীর্তি।
undefined
ধাঁধার বরফ, বরফের ধাঁধা।
undefined
দেখে মনে হয়, যাত্রা বিরতি শেষ, এখনই ধোঁয়া তুলে ছেড়ে যাবে আন্তঃনগর তুষারশুভ্র!
undefined
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, জাপানসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের ভাস্করেরা ছুটে আসেন তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে।
undefined
সাজানো শহর, শহরের অলি-গলি। সাত হাজারেরও বেশি শিল্পীর পরিশ্রমসাধ্য নিবেদন এ বরফের শহর!
undefined
পৃথিবীর বিখ্যাত সব স্থান আর স্থাপনার অনুকরণে বরফের রেপ্লিকা দিয়ে নির্মিত বরফের শহর।
undefined
বরফের আরামকেদারায় হিম অবসর!
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫