খেতে টক স্বাদের এই ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ, আর পাকলে জমাট বাধা রক্তের মতো লাল হয়ে যায়। কাটাযুক্ত গুল্মজাতীয় গাছের এ ফলটির রয়েছে বেশ পুষ্টিগুণ।
করমচা গাছে ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল আসে, ফল ধরে এপ্রিল-মে মাসে। আর ফল পাকে বর্ষায়।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে এনার্জি ৬২ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৪০ আইইউ, ভিটামিন সি ৩৮ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম ও কপার ০.২ মিলিগ্রাম।
গাছে ঝুলে রয়েছে করমচা। ছবি: বাংলানিউ
আরও বলা হয়েছে, করমচায় ফ্যাট বা কোলেস্টেরল না থাকায় তা ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য খুব ভালো। ওজন কমাতে সাহায্য করা এ ফলটি খাবারে রুচি বাড়ায়। মৌসুমী সর্দি-জ্বর, স্কার্ভি, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে ফলটি অতুলনীয়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোসহ গায়ের চুলকানি ও ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে জুড়ি নেই করমচার। শরীরের দূষণ বের দূর করতে সহায়তা করে করমচা যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পেটের অসুখ নিরাময়, শরীরের ক্লান্তি দূর, বাতরোগ ও ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে করমচা।গাছে ঝুলে রয়েছে করমচা। ছবি: বাংলানিউ
এছাড়াও করমচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ‘এ’ যা চোখের জন্য উপকারী। করমচা গাছের পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়। করমচা গাছের মূলে রয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ী উপকারী ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল, ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা ও লিগনাম। কাঁচা করমচার রস কৃমিনাশক হিসেবেও খুব ভালো।করমচার বিষয়ে উদ্ভিদবিদ্যাবিদ মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করমচা একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা থেকে শুরু করে ফল পর্যন্ত সবই পুষ্টিগুণে ভরা। এজন্য বাড়িতে প্রতিবেশীয় ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে করমচা লাগানো যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
এএ