ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জাবিতে পাখি মেলার উদ্বোধন

নুর আলম হিমেল, জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
জাবিতে পাখি মেলার উদ্বোধন বেলুন উড়িয়ে পাখি মেলার উদ্বোধন, ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): পাখি সংরক্ষণে গণ সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৮তম ‘পাখিমেলা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন সবাই করি যত্ন’ স্লোগানে শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এ মেলার উদ্বোধন করেন।

জাবি উপাচার্য বলেন, আমি মনে করি, পাখি থাকলে গাছ থাকবে, গাছ থাকলেই ফুল ও ফল থাকবে।

একটি সুন্দর পরিবেশ পাবে মানবজাতি। পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করতে হলে সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। এ কারণে প্রতিবছর শীত মৌসুমে রকমারি প্রজাতির পরিব্রাজক পাখি এখানকার জলাশয়ে আসে।

স্মৃতিচারণ করে উপাচার্য বলেন, বিগত শতকের ষাট ও সত্তর দশকের বর্তমান ইট পাথরের ঢাকা শহর ছিলো সবুজ। অনেক জলাশয় ছিল। সেখানেও পাখি আসতো। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত। এখন সেই ঢাকা নেই। জলাশয় ভরাট, ইট, পাথর, কংক্রিটের নানাবিধ কাজের মধ্যদিয়ে মানুষ সবুজ প্রকৃতি ও পাখ-পাখালির ঢাকার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে এখন আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি পাখি মেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিশিষ্ট পাখিবিশারদ ড. ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, আইসিইউএন বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাকিবুল আমিন, কথাসাহিত্যিক আখতার হোসেন, পাখি মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান।

এদিকে মেলার উদ্বোধনের আগে বিগ বার্ড বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ দেওয়া হয়। নতুন ও দুর্লভ প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়ায় এবার বিগ বার্ড বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন যথাক্রমে শফিকুর রহমান শুভ্র, মো. কায়েস ও তৌকির হাসান হৃদয়। কনজারভেসন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রাহুল এম ইউসুফ, আদিব মুমিন আরিফ ও আব্দুল্লাহ আল ওয়াহিদ। এছাড়া সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মুনতাছির আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তাদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

দিনব্যাপী এ পাখি মেলার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে- আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলারস দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, অডিও-ভিডিওয়ের মাধ্যমে পাখিচেনা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী
অনুষ্ঠান।

২০০১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ পাখিমেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার। তারই ধারাবাহিতায় এবারও পাখিমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।