ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শুভ্রতার প্রতীক ‘শ্বেত কাঞ্চন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
শুভ্রতার প্রতীক ‘শ্বেত কাঞ্চন’ সুদৃশ্য ফুল ‘শ্বেত কাঞ্চন’। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: গাছের পাতায় পাতায় দোলে উঠে শুভ্রতা। সাদা সাদা থোকা থোকা ফুলগুলো যেন সবুজের মাঝে শুভ্রতার প্রতীক হয়ে বিরাজ করছে। গভীর সৌন্দর্যে প্রকাশিত হয়েছে এর চারদিক। পারিবারিক বাগানগুলোতে এ ফুলগুলোকে পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের পাহাড়ি এলাকাতেও দেখা যায়।

সংস্কৃত ভাষায় এই ফুলটিকে ‘শিবমল্লি’ নামে উল্লেখ করা হয়। ‘ড্রাফট হোয়ইট অর্কিড’ নামেও ইংরেজিতে এর নাম পাওয়া যায়।

ফুলটি ধবধবে সাদা, তবে গন্ধহীন। শাখা-প্রশাখার মাথায় ফুল ফোটে। এ ফুটন্ত ফুলগুলো দূর থেকে দৃষ্টি কাড়ে।

উদ্ভিদ বিষয়ক লেখক ও গবেষক মোকারম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এই ফুলটিকে ‘শ্বেত কাঞ্চন’ বা ‘কাঞ্চন’ অথবা ‘সাদা কাঞ্চন’ বলে। এটি Caesalpiniaceae পরিবারভুক্ত উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Bauhinia acuminata। ঢাকায় রমনা পার্ক, শেরেবাংলানগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ প্রায় সারাদেশে আছে। এটি বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ নয়।

তিনি আরও বলেন, গুল্মশ্রেণির গাছ তবে বড়ও হতে পারে। কা- নিচু, শাখা-প্রশাখা অনেক এবং কিছুটা ছড়ানো-ছিটানো। শীতে পাতাহীন গাছজুড়ে দুধসাদা রঙের ফুলের মেলা বসে। ফুলগুলো পাতার কোলে গুচ্ছবদ্ধ, পাপড়ি সংখ্যা পাঁচটি। শিমের মতো চ্যাপ্টা ফল হয়।

ফুল ফোটা এবং প্রাপ্তিস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফুল ও ফল হয়ে থাকে জ্যৈষ্ঠ-শ্রাবণ মাসে। কখনও সারাবছর। বীজ থেকে চারা হয়। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে।

‘শ্বেত কাঞ্চন’ গাছের শিকড় খুব বিষাক্ত এবং সর্পদংশনের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার্য বলে জানান গবেষক মোকারম হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।