ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

গেছো নেংটি ইঁদুর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
গেছো নেংটি ইঁদুর বাইক্কা বিলের গেছো নেংটি ইঁদুর। ছবি- তানিয়া খান   

মৌলভীবাজার: নিঃস্তব্ধ জলাভূমির ঝোপঝাড়। গাছগাছলিপূর্ণ হিজল-তমালের বন। একটি গাছের সঙ্গে অপরটি লেপ্টে রয়েছে ঘন হয়ে। মাঝে মাঝে ওই দূরে ডেকে ওঠে সরালিসহ অজানা জলচর পাখির ডাক।

অনতিদূরে ঘুঘুর স্বর দুপুররোদে ক্লান্তির কথা জানান দেয়। হিজল-তমালের ছায়াঘেরা বনের নির্জন একটি অংশে পাখির বাসার মতো ডালপালা।

পাতাগুলো বৃত্তাকার হয়ে লেপ্টে রয়েছে। এটি আসলে পাখির বাসা, নাকি অন্য কোনো জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল তা উপলব্ধি করা যাচ্ছিল না।
 
মৌলভীবাজারের নিসর্গশোভায় লালিত বাইক্কা বিল দুপুরের ছায়াঘেরা তমালবনের সৌন্দর্যে মুখর হয়ে ওঠে। বহুদূর থেকে ডানা ঝাপটিয়ে আসা পাখিটি তার সুরধ্বনির সঙ্গে নির্জনতার ঘুম ভাঙায়।
 
বনপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খানের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বাইক্কা বিলের সেই হিজল-তমাল বনের গেছো নেংটি ইঁদুর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
বাইক্কা বিলের গেছো নেংটি ইঁদুর।  ছবি- তানিয়া খান    
তিনি বলেন, ‘গেছো নেংটি ইঁদুর’ এর ইংরেজি নাম Asiatic Long-tailed Climbing Mouse। এরা মিষ্টি নিশাচর ইদুর। বেশির ভাগ সময় গাছেই থাকে। তবে সহজে তাদের দেখা যায় না। একেতো ছোট; তারপর ভয় পেলে অথবা বিপদ সংকেত পেলেই দ্রুত লুকিয়ে যায়। এরা ১০০ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা। শরীরের প্রায় দ্বিগুণ লম্বা লেজ। তাই ওকে ‘লম্বালেজি গেছো ইঁদুর’ বলে।
 
পোকামাকড়, ফলমূল, গাছের কচি ডাল, অঙ্কুর, বা ফুলের মুকুল প্রভৃতি খায়। প্রজনন মৌসুমে ৩টি থেকে ৬টি বাচ্চা দেয়। আমাদের মিশ্র চিরসবুজ বনে এদের বেশি দেখা যায় বলে জানান তানিয়া খান।  
  
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।