পঞ্চগড়: গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল জেলার পথঘাট। সকালে ঘন কুয়াশা থাকায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসের কারণে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়তে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের লোকজনকে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ৩০ নভেম্বর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ০১ ডিসেম্বর সকাল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ০২ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ০৩ ডিসেম্বর ১১ ডিগ্রি, ০৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ০৫ ডিসেম্বর ১২ ডিগ্রি, ৬ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ৭ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৮ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৯ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ১০ ডিসেম্বর ১৩ দশমিক ৭, ১১ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ১২ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ওঠানামা করায় এ জেলায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। একই সঙ্গে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ আরও কমে আসছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবেত আলী বাংলানিউজকে বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে পঞ্চগড়ের অবস্থান হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা প্রতি বছর একটু বেশি থাকে। এ সময়টিতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েন সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের মধ্যে উষ্ণতা ছড়াতে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
এসআই