ডিজেইং জগতে জনপ্রিয় এক নাম ডিজে রাহাত। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশে ও দেশের বাইরে তিনি ডিজেইং করে যাচ্ছেন বেশ সুনামের সঙ্গে।
এবার ডিজেইং-এর পাশাপাশি ডিজে রাহাত ভিন্ন ধরনের এক উদ্যোগ নিয়েছেন। আর তা হলো বাংলাদেশের প্রচলিত জনপ্রিয় ত্রিশটিরও বেশি ফোক গান আগামীতে যেকোনো ডিজে পার্টিতে উপস্থাপনের জন্য বা বাজানোর জন্য ড্যান্স ফরমেটে করছেন। মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্ট করেছেন ডিজে রাহাত।
নতুন করে প্রচলিত জনপ্রিয় এই গানগুলোতে কণ্ঠ দিচ্ছেন শফি মন্ডল, ডলি সায়ন্তনী, পিন্টু ঘোষ, পারভেজ, আনিকা, শুভ, মিলন, ইমরান, অবন্তী সিঁথি, শিরীন, কর্ণিয়া, কামরুজ্জামান রাব্বি, সাদিয়া লিজা’সহ আরও অনেকে।
গেল ২ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসিতে ডিজে রাহাতের উদ্যোগে গানগুলোর ভিডিও ধারনের কাজ চলছে। ডিজে রাহাত জানান আগামী বছরের শুরু থেকে ত্রিশটিরও বেশি ফোক গান’সহ নতুন দশটি মৌলিক গান ২০২৫ সালজুড়ে ডিজে রাহাতের ইউটিউব চ্যানেল ‘ডিজে রাহাত’-এ প্রকাশ পাবে।
নিজের উদ্যোগে ড্যান্স ফরমেটে পুরোনো গান নতুন করে করা প্রসঙ্গে ডিজে রাহাত বলেন, যেহেতু আমার পেশাই ডিজেইং করা এবং আমার কাজই হলো একজন ডিজে হিসেবে মানুষকে নাচানো তাই আমি এমন কিছু জনপ্রিয় ফোক গান ড্যান্স ফরমেটে করছি নতুন করে যে গানগুলো বিভিন্ন ডিজে পার্টিতে আমি বা অন্যরা হিন্দী-ইংরেজি গানের পাশাপাশি আমাদের গানগুলোও বাজাতে পারবে। কারণ আমি দেখেছি যে বিভিন্ন ডিজে পার্টিতে হিন্দী-ইংরেজি’র পর বাংলা কোনো গান বাজানো যায় না। কারণ আমরা পুরোনো জনপ্রিয় যেসব গান শুনি, সেসব গান ডিজে পার্টিতে পরিবেশনের উপযোগী নয়। এখনকার জেনারেশন যে সাউন্ড পছন্দ করে, সেই সাউন্ডে যেন শুনতে পারে এবং চাইলে যেন নাচতেও পারে এমন ভাবনা থেকেই শিল্পীদেরকে দিয়ে ড্যান্স ফরমেটে নতুন করে গানগুলো করছি। আগামীতে ১০/১৫টা হিন্দী ও ইংরেজি গানের পাশাপাশি যেন দশটা বাংলা গানও যেন বাজে এটাই আমার লক্ষ্য।
ডিজে রাহাতের পুরো নাম রাহাত হায়াত। তার বাবা আব্দুস সামাদ, মা মাকসুদা সামাদ। ডিজেইং-এ তার গুরু ডিজে তানিম। ২০০৪ সালে প্রথম ডিজে রাহাতের ফিচারিং-এ টুনটুন বাউলের ‘ল্যাম্পোর আলো’ প্রকাশিত হয়। ডিজে হিসেবে তার নয়টি অ্যালবামও প্রকাশিত আছে। বাংলাদেশে স্পোর্টস ইভেন্টে, অ্যামিউজম্যান্ট পার্কে ডিজে তারই উদ্যোগে সংযুক্ত হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর সিলেট ক্যাডেট কলেজে ডিজেইং করবেন ডিজে রাহাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
এনএটি