ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

রাত পোহালেই বিভাগের ৭৭ ইউপিতে ভোট

ঝুঁকিপূর্ণ সিলেটের ১৩৮ কেন্দ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
ঝুঁকিপূর্ণ সিলেটের ১৩৮ কেন্দ্র

সিলেট: রাত পোহালেই তৃতীয় ধাপে সিলেট বিভাগের ৭৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে টানা ভোট গ্রহণ।

বিভাগে এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪০৯ প্রার্থীর ১১৬ জন দলীয় প্রতীকে এবং ২৯৩ জন স্বতন্ত্র থেকে লড়ছেন।

বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলার তিন উপজেলার দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ভোট গ্রহণ অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে মোতাবেক নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্ব ও সাধারণ বিবেচনায় দুইভাগে বিভক্ত করে নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটে ১৩৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৬ কেন্দ্র সাধারণ বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছেন দেড় সহস্রাধিক আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৫৮ কেন্দ্র এবং জৈন্তাপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪৭ কেন্দ্রের সব ক’টি ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক হাজার ৩৬ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে ৫ জন করে পুলিশ, ১৭ জন আনসার, প্রতি ৩ কেন্দ্রে ৫ সদস্যের একটি করে মোবাইল টিম, প্রতি ইউনিয়নে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ২টি টিমকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। সেই সঙ্গে ৩ জন বিচারিক ও ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বাংলানিউজকে বলেন, এসএমপির আওতাধীন দক্ষিণ সুরমার ৫টি ইউনিয়নে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলোর ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) এবং ১৬টি সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ছক সাজানো হয়েছে। নির্বাচন অবাদ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকছেন বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুসারে, গত শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। তবে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা শেষ সময়ে ভোট ভোটারদের মন মজানোর চেষ্টায় রয়েছেন।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম নিয়ে শনিবার কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছেছেন আইনশৃঙখলা বাহিনীর সদস্যরা। রোববার ভোটের আগে প্রতিটি কেন্দ্রে পৌছাবে ব্যালট পেপার।

এদিন (রোববার) দক্ষিণ সুরমার সিলাম, জালালপুর, মোগলাবাজার, দাউদপুর, লালাবাজার। গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুর, ফতেহপুর, লেঙ্গুরা, নন্দিরগাঁও ডৌবাড়ি তোয়াকুল। ছাড়াও জৈন্তাপুরের জৈন্তাপুর, চারিকাটা দরবস্ত ফতেহপুর এবং চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে।

আইনশৃঙখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ঠরা বলেন, ইতোমধ্যে প্রিসাইজিং অফিসারের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনী এলাকার কেন্দ্রগুলো হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া ভোট গ্রহণের আগে থেকে পোষাকে সাদা পোষাকে পুলিশ, র্যাবসহ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ বলেন, রোববার যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এ জন্য সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের প্রস্তুতিতে কোথাও কোন ঘাটতি নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘন্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এনইউ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।