ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

করোনার মধ্যেও নাসিকে বেড়েছে ট্যাক্স: তৈমুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
করোনার মধ্যেও নাসিকে বেড়েছে ট্যাক্স: তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি জনগণের চাহিদার কারণে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার মনে হচ্ছে জনগণ তাদের প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে।

নারায়ণগঞ্জকে আমরা ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন সিটি করবো। নারায়ণগঞ্জ শহর হবে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহর। এর জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি খালি জায়গায় গাছ রোপণ করা হবে। ছাদবাগনের মাধ্যমে মানুষের খাবারেরও যোগান হবে। ছাদবাগান যারা করবে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে উৎসাহিত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে নাসিকের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আইভীর নানা অভিযোগের বিষয়ে তৈমুর বলেন, কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি বলেন। আমি জনগণের প্রার্থী। আমাকে সর্বস্তরের জনগণের কাছে যেতে হবে। আপনারা যদি এভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন সরকারি দলের কথায়। তাহলে এটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।

নির্বাচনের প্রচারণায় সাউন্ড বক্স ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাউন্ড সিস্টেম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিজ্ঞানিরা বলে উচ্চ শব্দের কারণে বারো বছর হায়াৎ কমে যায়। নির্বাচনী প্রচারণা চলাতে গিয়ে টাকার জোরে কেউ যদি সাউন্ড সিস্টেম চালায় তাহলে এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার কথা। নির্বাচন কমিশনকে বোবা ও অন্ধ হলে চলবে না। তাদের চোখ-কান খোলা রেখে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। তবেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

ট্যাক্স নিয়ে তিনি মিথ্যাচার করছেন আইভীর এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তৈমুর বলেন, আমি যা বলি কাগজে-কলমে বলি। ডকুমেন্ট ছাড়া কোনো কিছু বলি না। সিটি করপোরেশনের অনেক ডকুমেন্ট আমার হাতে। এখানে যারা ট্যাক্স দেয় তারা জানে কত বেড়েছে ট্যাক্স। করোনাকালে সবকিছু কমলেও নাসিকে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এখানে গণবিপ্লব হতে যাচ্ছে। জনগণের জয় হবে।

আচরণবিধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানেই আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সেটা প্রতিহত করা। নয়তো আচরণবিধি লঙ্ঘন হতেই থাকবে। সরকারি দল তো আমলাদের একটা সুবিধা পায়। সেটাকে তারা যেন কাজে না লাগাতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য আমি অনুরোধ জানাবো।

আমার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। আমি মসজিদে গিয়েছি, আমি যেতেই পারি। আমি কোনো পথসভা করিনি। আমি আরচণবিধি মেনে চলেছি। ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির বিজয় মিছিলে আমার সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। সেখানে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে নেতাকর্মীদের মনে কষ্ট দিয়ে আমি সেই মিছিলে যাইনি। আমি অভিযোগ করেছি আওয়ামী লীগের সমাবেশে এমপিরা এসে প্রতীকসহ সরাসরি ভোট চেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।