ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটার হালনাগাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা!

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ভোটার হালনাগাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা! নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই)। কিন্তু ৩৫ লাখ ভোটারকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন খোদ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারাই। এক্ষেত্রে সঠিক প্রচারণার অভাব, কম সময় ও বন্যার প্রভাবকে প্রধান বাধা বলে মনে করছেন তারা।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার ৩৫ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করছে ইসি। যা মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদা ময়মনসিংহে উদ্বোধন করবেন।

পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ঠেকাতে রয়েছে বিশেষ কমিটি। আবার নারী ভোটার বাড়াতেও নিয়োজিত করার কথা রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের।

কিন্তু এ নিয়ে নাগরিকদের সচেতন করতে বা হালনাগাদের ‍বার্তা পৌঁছাতে তেমন কোনো প্রচারণা করেনি নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত প্রচারপত্র, লিফলেট বা মাইকিংয়েরও তেমন কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এছাড়া গণমাধ্যমেও সেভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রচার হয়নি।
 
আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সময়ও রাখা হয়েছে ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। অথচ অন্যান্যবার এ কাজে ২৫ দিন সময় রাখার পরও লাখ লাখ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসি উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা বাংলানিউজের কাছে আশঙ্কা করে জানিয়েছেন, এবার যে সময় দেওয়া হয়েছে তা অনেক কম। কাজেই এবারও অনেক ভোটার বাদ পড়ে যাবেন।
 
অন্যদিকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দেশের ১৩টি জেলায় ব্যাপক বন্যা হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক উপজেলা। ফলে বিরাট জনপদে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। আগামী ১০-১৫ দিনেও তা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এক্ষেত্রে সবার বাড়িতে ইসি নিয়োজিত কর্মীরা গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না। যে কারণে অনেক ভোটার বাদ পড়ার শঙ্কা রয়েছে।  
 
এ অবস্থায় ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, সময় বাড়ানোর সঙ্গে প্রচার-প্রচারণা আরো বাড়ানো উচিত। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্র অর্জন হবে না।
 
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, আশা করছি এ সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে এসে ভোটার হওয়ার যাবে। এতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
 
বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার জন্য রেজিস্ট্রেশনের পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি। দাবি, আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে একই বছর ৩১ জানুয়ারি। একাজের জন্য ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৬ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ফলে ভোটার প্রতি খরচ হবে ১৪৪ দশমিক ২২ টাকা।

২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ পূর্ণ হবে, তাদেরকেই এবার ভোটার করে নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ জন ভোটার।
 
এবার তথ্যসংগ্রহকারীদের সম্মানী ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়েছে। আর মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্মানী ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।