ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আ.লীগ সরকারের এনআইডি আইনের বাস্তবতা পর্যালোচনা করবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
আ.লীগ সরকারের এনআইডি আইনের বাস্তবতা পর্যালোচনা করবে ইসি নির্বাচন ভবন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের আমলে করা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম সরকারের অধীনে ছেড়ে দেওয়ার আইন পর্যালোচনায় ‘কমিশন বৈঠক’ ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

 

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ইসির সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছেন।  

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে বিগত আওয়ামী সরকার ২০২৩ সালে একটি আইন করে।

‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ শীর্ষক ওই আইনে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়। সে মোতাবেক এখনো এনআইডি ইসির অধীনেই আছে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাসহ সুশীল সমাজ এবং দেশের সাধারণ মানুষ এ কার্যক্রমটি ইসির অধীনে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা বলছেন, ২০২৩ সালের নতুন আইনটি বাতিল করা উচিত। অন্যথায় ওই আইন সংশোধন করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের পরিবর্তে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়টি যোগ করা উচিত।

অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বারবার এনআইডি হস্তান্তরের বিরোধিতা করে এসেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসি থেকে সরকার কেন এনআইডি নিতে চায়, তা পরিষ্কার নয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এনআইডি চলে গেলে আগামীতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে।  

এ এনআইডির পেছনে এতগুলো বছর একটা সিস্টেম ডেভেলপ করেছে ইলেকশন কমিশন। এটা যদি আলাদা হয়ে যায়, তাহলে কোনো এক সময়ে ইন ফিউচারে ভোটার লিস্ট নিয়ে কথা উঠবে। কারটা ঠিক? এনআইডি ঠিক নাকি ভোটার লিস্ট ঠিক? আলটিমেটলি এটা নিয়ে একটা গন্ডগোল হবে।

এদিকে ইসি কর্মকর্তারাও এর বিরোধিতা করছেন। এছাড়া এনআইডি প্রকল্পের কয়েক হাজার লোকবলও এ নিয়ে আন্দোলন করছেন। তাদের মতে, এ কাজে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন দীর্ঘদিন সময় ব্যয় করে। এখন অন্যত্র এটি নিয়ে যাওয়া হলে নতুন করে অভিজ্ঞ লোকবল তৈরি করতে যেমন সরকারের অর্থের অপচয় হবে, তেমনি নাগরিক সেবায় ভোগান্তিও বাড়বে। আবার নাগরিকের তথ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়বে।  

ইসির উপসচিব মো. শাহ আলমের সই করা ওই অফিস আদেশে উল্লিখিত কমিশন সভায় আরো দুটি আলোচ্য বিষয় রাখা হয়েছে। একটি হলো- বিশেষ এলাকায় (চট্টগ্রাম অঞ্চল) ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ তথ্য ফরম (ফরম-২ এর অতিরিক্ত তথ্য)’ ব্যবহার বিষয়ে আলোচনা। আরেকটি হলো- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনবল কাঠামো ও সরঞ্জামাদি হালনাগাদকরণের বিষয়ে আলোচনা।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২১ নভেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর এএমএস নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের এটি দ্বিতীয় বৈঠক। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছেন। রোববারের বৈঠকটিও সেজন্য ডাকা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।