ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গৌরনদী পৌরসভার উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারধর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
গৌরনদী পৌরসভার উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারধর 

বরিশাল: বরিশালে গৌরনদী পৌরসভার উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিটন বেপারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

বুধবার (২৬ জুন) সকালের পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পালরদী মৎস্য-বীজ উৎপাদন খামার কেন্দ্র এলাকায় মেয়র পদের নারকেল গাছ প্রতীক ও মোবাইল ফোন প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, মারধর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  

আহতরা জানান, সকালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পালরদী মৎস্য-বীজ উৎপাদন খামার কেন্দ্রে মেয়র পদে মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সমর্থকরা নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন ভুঁইয়ার সমর্থকদের মারধর করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এর পরপরই ওই এলাকায় দুটি বিকট শব্দ শোনা যায়।  

স্থানীয়দের দাবি, হাত বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, তবে কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পারেনি।

যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জয়নাল আবেদীন। তিনি দাবি করেন তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কিছু ঝামেলা হয়েছিল, কিন্তু কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।  

তবে ভোট শুরুর পর থেকে পাড়া-মহল্লায় ঢুকে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মেয়র প্রার্থী আলাউদ্দিন ভূইয়া বলেন, মোবাইল ফোন প্রতীকের সমর্থক লুৎফর, জাকির, নাসির, মিলন, মামুন ও কালামের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে এসে আমাদের লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় কাউন্সিলর লিটন বেপারীও হামলার শিকার হন।

আহত লিটন বেপারী বলেন, নারিকেল গাছ প্রতীকের জন্য কাজ করায় ২০ থেকে ২৫ জন এসে কেন্দ্রের সামনেই আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হত্যার উদ্দেশ্যে ওরা যখন মারধর করছিল তখন আমাদের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।  

এদিকে নারিকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলাউদ্দিনের অভিযোগ মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, আমার ভোটারদের চিহ্নিত করে কেন্দ্রে না যেতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে। জয়নাল সমর্থক স্থানীয় ও বহিরাগতরা নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে এ হুমকি দেয়।

 যদিও প্রশাসনের দাবি তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) শারমিন সুলতানা রাখি জানান, কোনো অনিয়মের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে পালরদীতে পরপর বিকট দুটি শব্দের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

এদিকে মেয়র প্রার্থীর কাছ থেকে নগদ ২৩ হাজারের মতো টাকা গ্রহণ করায় সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং ও দুইজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। তার পদত্যাগের কারণে মেয়র পদটি শূন্য হয়। উপনির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭ হাজার ২৪৩ জন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।