ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয় 

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয় 

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নাসির উদ্দিন।  

সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে শার্শা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

 

এদিকে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমান সজন পেয়েছেন তিন হাজার ৮২৫ ভোট। এছাড়া গত ১৫ জুলাই ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন উজ্জ্বল জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩১ ভোট। এছাড়া নয়টি ওয়ার্ডে ১২টি কেন্দ্রে মোট ভোটের ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এর আগে ইভিএমে সকাল ৮টা থেকে পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।  

এদিকে যশোরের বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে ভোগান্তির নাম ছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। আঙুলের ছাপ না মেলা, যান্ত্রিক ত্রুটি ও পর্যাপ্ত ভোটার প্রশিক্ষণ না থাকায় ভোটগ্রহণে ছিল চরম ধীরগতি। এতে ভোটকক্ষের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ভোট দিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমনকি সময় শেষ হওয়ার পরও দেড় ঘণ্টা চলে ভোটগ্রহণ। ভোটকক্ষে ঢোকার পরও ভোট দিতে ২০-৩০ মিনিট সময় লেগেছে বলে কয়েকজন ভোটার জানান। ইভিএমে এমন ভোগান্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অসংখ্য ভোটার।  

ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হচ্ছে। ইভিএমের সঙ্গে সবাই পরিচিত নন। এ কারণে ভোটারদের ভোট দিতে সময় একটু বেশি লেগেছে।  

রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ভোটাররা ইভিএমে অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে কিছু কেন্দ্রে ধীরগতি ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ভোট কেন্দ্রে আসা ব্যক্তিদের ভোট নেওয়া হয়। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল।

২০০৬ সালে বেনাপোল ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের অংশ নিয়ে বেনাপোল পৌরসভা গঠনের পর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সে নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ওই পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও আর নির্বাচন হয়নি। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার নির্বাচন মামলার কারণে বন্ধ ছিল। সীমানা জটিলতা নিষ্পত্তি হওয়ায় দীর্ঘ একযুগ পর অনুষ্ঠিত হলো নির্বাচন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।