ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

যেমন ছিল ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
যেমন ছিল ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রথমবারের মতো নৈর্ব্যক্তিকের (এমসিকিউ) সঙ্গে লিখিত প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার অর্থাৎ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিতে ঢাবিতে নতুন নিয়মে ৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ছিল।

মোট ৯০ মিনিট বা দেড় ঘণ্টার মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য এক দশমিক ২৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। এই অংশে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০ দশমিক ২৫ নম্বর।

লিখিত অংশের বিষয়ে একাধিক ভর্তিচ্ছু ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪৫ নম্বরের লিখিত প্রশ্ন ছয়টি অংশে বিভক্ত ছিল।

প্রথমে ছিল বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ পাঁচটি, নম্বর বরাদ্দ ছিল ৫। তারপর ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ পাঁচটি, বরাদ্দ নম্বর ৫। এরপর কনসেপ্ট রাইটিংয়ের ওপর ছিল পাঁচটি প্রশ্ন; যার বিষয় ছিল সাইবার ক্রাইম, সনেট, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ও অনলাইন শপিং। বরাদ্দ নম্বর ৫।

চার নম্বরে ছিল ভূমিকম্পের ওপর প্যাসেজের সারসংক্ষেপ লিখন। সেখানে বরাদ্দ ছিল ৫ নম্বর। পাঁচ নম্বর প্রশ্ন ছিল ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক বাংলায় রচনা, এখানেও বরাদ্দ ছিল ৫ নম্বর।

সর্বশেষ প্রশ্নে ‘একটি ফার্মের মুনাফা সর্বোচ্চকরণ লক্ষ্যের চেয়ে সম্পদ সর্বোচ্চকরণ লক্ষ্য শ্রেয় কেন’ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। অথবা পাঁচটি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়। যেখানে *‘লালসালুকে কেন সামাজিক উপন্যাস বলা হয়?, *মায়ের গুণাবলী সম্পর্কে * সমন্বয় জাবেদা লিখনের উদ্দেশ্য, *বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কী? এবং *ভোক্তাবাজার বিভক্তিকরণের ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ অংশে নম্বর বরাদ্দ ছিল ২০।

জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হলে শিক্ষার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ এবং লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।