ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্রী উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
ছাত্রী উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

রাবি: ছাত্রী উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেছেন তিন ছাত্রলীগকর্মী।

বুধবার (১৬ মে) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশে ওই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় এক ছাত্রলীগকর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

ছুরিকাঘাতে জখম শিক্ষার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম হৃদয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। আহতাবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আটক ছাত্রলীগকর্মী মো. হামজা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ছুরিকাঘাতে জড়িত অন্য দুইজন পালিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম হৃদয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, সন্ধ্যায় দুই বন্ধু ও এক বান্ধবীর সঙ্গে তিনি দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে গল্প করছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ কর্মী হামজা ও অপর দুইজন তার বান্ধবীকে একাধিকবার উত্যক্ত করেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই বন্ধু চলে গেলে বান্ধবীকে হলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রওয়ানা হন।

কিছুদূর এগোনোর পরই তাদের পথরোধ করেন হামজাসহ তিনজন। একপর্যায়ে হামজা হৃদয়ের পেটের নিচের অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন দাবি করেন, হামজা ছাত্রলীগের কর্মী নয়। সে শের-ই-বাংলা হলে যাতায়াত করতো। দুইদিন আগে আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি কেটে দেন। পরে সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি মোবাইলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছে। বিস্তারিত কিছু এখনও জানতে পারিনি। আমি ঢাকায় আছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, একজনকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান প্রক্টর।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, মে  ১৬, ২০১৮
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।