ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে ভর্তির জন্য যা পড়তে হবে

ওয়ালিউল্লাহ ও নুর আলম হিমেল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
জাবিতে ভর্তির জন্য যা পড়তে হবে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর।

এবার যারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তাদের জন্য এ আয়োজন :

এ বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘সি’ ইউনিটে ১০০ নম্বর এবং ‘জি’ ইউনিটে ৭৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এ, বি, ডি, ই, এফ, এইচ ইউনিটে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর থাকছে ২০ নম্বর।

ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ওএমআর পদ্ধতিতে উত্তর মূল্যায়ন করা হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২০ (শূন্য দশমিক দুই শূন্য) নম্বর কাটা যাবে।

বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার নম্বরবন্টন:

এ ইউনিট- গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় গণিতে ২২, পদার্থবিজ্ঞানে ২২, রসায়নে ২২, বাংলায় ৩, ইংরেজিতে ৩ এবং বুদ্ধিমত্তা (বিজ্ঞান বিষয়ক) ৮ নম্বর থাকবে।

বি ইউনিট- সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ১৫, গণিতে ১৫, সাধারণ জ্ঞানে ২৫, এবং বুদ্ধিমত্তায় ১৫ নম্বর থাকবে।

সি ইউনিট- কলা ও মানবিক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫, এবং অনুষদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ক ৭০ নম্বর থাকবে। এই অনুষদের বাংলা ও ইংরেজি ছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলো হলো- ইতিহাস, দর্শন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রত্নতত্ত্ব সাংবাদিকতা এবং চারুকলা।

ডি ইউনিট- জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজিতে ৮, রসায়নে ২৪,  উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ২২, প্রাণিবিদ্যায় ২২ এবং বুদ্ধিমত্তায় ৪ নম্বর থাকবে।

ই ইউনিট- বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ৩০, গণিতে ৩০ এবং ব্যবসায় সম্পর্কিত সাধারণজ্ঞানে ১০ নম্বর থাকবে।

এফ ইউনিট- আইন অনুষদ ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ২৫, ইংরেজিতে ২৫ এবং সাম্প্রতিক বিষয় ও বুদ্ধিমত্তায় ৩০ নম্বর থাকবে।

এইচ ইউনিট- ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ৫, ইংরেজিতে ১৫, গণিতে ৪০ এবং পদার্থবিজ্ঞানে ২০ নম্বর থাকবে।

সি এবং জি ইউনিট ব্যতীত অন্য সকল ইউনিটে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ৫৫ মিনিট। সি ইউনিটে মোট ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ৬৫ মিনিট। এই ইউনিটে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগের জন্য ২০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে নেওয়া হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার পাশ নম্বর ৪০%।

জি ইউনিটের ৭৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ৫৫ মিনিট। ৫ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে নেওয়া হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষায় ওএমআর পূরণের জন্য আলাদাভাবে ৫ মিনিট সময় দেওয়া হবে।

সকল ইউনিটে লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর নূন্যতম ৩৩ শতাংশ। সি ইউনিটে (বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ ব্যাতিত) উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ৩০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ নম্বর পেতে হবে। সি ইউনিটে উত্তীর্ণদের বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য বাংলা বিষয়ে ১৫ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৮ নম্বর এবং ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে ১৫ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ নম্বর পেতে হবে।

সি ইউনিটে উত্তীর্ণদের মধ্যে যারা প্রশ্নের ৮১ থেকে ১০০ ক্রমিক নম্বর প্রশ্নের উত্তরের জন্য ২০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৭ পাবে তারাই নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে।

ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ তিনদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিট অফিস ফলাফল প্রকাশ করবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ও ইউনিট অফিসের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হবে।

ভর্তির জন্য নির্বাচন পদ্ধতি:

লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মোট সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিট/ বিভাগের আসন সংখ্যার সর্বাধিক ১০ (দশ) গুণ ছাত্র-ছাত্রীর পৃথক তালিকা মেধা অনুযায়ী প্রণয়ন করা হবে। জি ইউনিট ও সি ইউনিট ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগের চূড়ান্ত মেধাক্রমে মৌখিক/ ব্যবহারিক পরীক্ষার পরে প্রকাশ করা হবে।

গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীর মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএকে ১.৫ দ্বারা গুণ করে এবং উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএকে ২.৫ দ্বারা গুণ করে ফলাফল তৈরি করা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ০ লেভেল এবং এ লেভেল ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এ গ্রেডের জন্য ৫, বি গ্রেডের জন্য ৪, সি গ্রেডের জন্য ৩.৫ এবং ডি গ্রেডের জন্য ৩ পয়েন্ট গণ্য করা  হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ছাত্র-ছাত্রীদের মূল সনদ পত্র, একাডেমি ট্রান্সক্রিপ্ট, ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র, ছাত্র-ছাত্রীদের আপলোড করা ছবি, স্বাক্ষর, হাতের লেখা ইত্যাদি যাচাই করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে সংবাদপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
আরএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।