ঢাকা: উন্নয়ন ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত আইডিইবির সেমিনার হলে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা হলো এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে- কলমে বিশেষ বৃত্তি সম্পর্কে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এটি প্রযুক্তি, প্রায়োগিক বিষয় ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনের পেশা সম্পর্কে প্রায়োগিক জ্ঞান, দক্ষতা ও বোধগম্যতা অর্জন করা হয়। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন নিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা দিয়েছেন রূপকল্প ২০৪১ এর মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন। সেই প্রচেষ্টাকে সফল করতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের যুবসমাজ নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ।

তারা বলেন, উন্নত বিশ্বের তালিকায় বাংলাদেশের নাম পৌঁছে দিতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই, যত বেশি কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটবে তত দ্রুত উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
এইচএমএস/আরআইএস