ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

মাইগ্রেশনের দাবি শাহ মখদুম মেডিকেল শিক্ষার্থীদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
মাইগ্রেশনের দাবি শাহ মখদুম মেডিকেল শিক্ষার্থীদের

রাজশাহী: অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে মাইগ্রেশন করে দেওয়ার দাবিতে রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।  

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ৪২ জন শিক্ষার্থী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কলেজের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না। তিনি বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার কারণে ৪২ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ ৪২ শিক্ষার্থী ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ওই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কিন্তু ভর্তির দুইবছর পার হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন এ মেডিকেল কলেজটির কোনো অনুমোদন নেই। এরপর সবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।

মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ নামের এ প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নয়। কর্তৃপক্ষ তাদের ভুয়া ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক ধাপে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এরই মধ্যে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিনব এ প্রতারণার ঘটনায় মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত ২১টি মামলা করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে তারা কোনো সুরাহা পাননি। তাই তারা সংবাদ সম্মেলন থেকে দ্রুত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে মাইগ্রেশন করার দাবি জানান।

এদিকে শিক্ষার্থীদের এ সংবাদ সম্মেলনের পর এ মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, অদৃশ্য কোনো শক্তির ইশারায় তাদের কলেজকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না। কোনো বেসরকারি কলেজেরই শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন দেওয়ার ক্ষমতা নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মতি সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই মাইগ্রেশন নিতে পারবে। আর কেউ নিজ নিজ প্রচেষ্টায় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে মাইগ্রেশন করে নিতে পারলে তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি থাকবে না। '#

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।