ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এমপি রবির ‘নিয়ন্ত্রণে’ সাতক্ষীরার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
এমপি রবির ‘নিয়ন্ত্রণে’ সাতক্ষীরার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছবি: ওপরের বাঁম থেকে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, নাজনীন আরা, মকসুমুল হাকিম, মাহফুজুর রহমান, জিয়াউর বিন যাদু ও শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু

খুলনা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।  

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের এ সিদ্ধান্তে বেজায় খুশিসাতক্ষীরা সদর উপজেলার মানুষ।

নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের আনন্দিত হওয়া ও মীর মোস্তাক আহমেদ রবির মনোনয়ন না পাওয়ার নেপথ্য কারণ বেরিয়ে এসেছে তথ্য অনুসন্ধানে।

অনুসন্ধান বলছে, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটিতে নিজের লোকদের বসিয়ে নিয়োগ ও এমপিও বাণিজ্য করেছেন দেদারছে। নিজের আপন বোন, পিএ, সিএ এমনকি ‘ছাতা ধরা’ কর্মচারীকেও করেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় বসবাসরত সংসদ সদস্য (এমপি) মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ছোট বোন, রোটারি ক্লাব অব জাহাঙ্গীরনগরের ক্লাব প্রেসিডেন্ট নাজনীন আরা নাজু কালেভদ্রে সাতক্ষীরায় আসেন। অথচ তাকে সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ও ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের সভাপতি করে এমপি রবি নিজেই কলকাঠি নাড়েন।

শুধু বোন নয়, এমপি রবির ব্যক্তিগত সহকারী মকসুমুল হাকিমকে করা হয়েছে সাতক্ষীরা রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সভাপতি।

জিয়াউর বিন সেলিম জাদু সম্পর্কে এমপি রবির ভাইপো। তার কাজ মূলত এমপি রবিকে রোদ বৃষ্টিতে প্রটেকশন দিতে ছাতা বহন করা। তাকে করা হয়েছে বল্লী মো. মুজিবর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি।

সংসদ সদস্যের আরেকজন সহকারী শেখ মাহফুজুর রহমান জন। তাকে করা হয়েছে শিকড়ী বৈকারী-কুশখালী (বিকে) মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আগরদাড়ী আমিনিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সভাপতি। এছাড়া শেখ মাহফুজুর রহমানের বাবা শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলুকে করা হয়েছে কাথন্ডা আমিনিয়া আলিম মাদরাসার সভাপতি।

এ পাঁচজনই নিয়ন্ত্রণ করছেন সাতক্ষীরা সদরের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার নিয়োগ বাণিজ্য। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সঙ্গে সভাপতিদের পরিচয়ই নেই। অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক দুই-একদিন তারা প্রতিষ্ঠানে যান। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়নে তাদের কোনো প্রচেষ্টা নেই। তারা খোঁজ নেন কখন কী নিয়োগ হবে।

অনুসন্ধান বলছে, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের নিয়ম বা স্থানীয় অভিভাবকদের দাবি থাকলেও এমপি রবি তা হতে দেন না। তিনি নিজের লোকদের সভাপতি বানিয়ে কমিটি চাপিয়ে দেন এবং তাদের মাধ্যমেই চলে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য। বিভিন্ন সময়ে এমপি ও তার বসানো  সভাপতিদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও অজ্ঞাত কারণে তা
বার বার চাপা পড়ে। এতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা পড়েন বিপদে।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তার বিরুদ্ধে তিন ধাপে ১৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে জনপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। সে সময় টাকা দিয়েও নিজের ছেলেকে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে সাতক্ষীরা ব্যাংদহা গ্রামের নিমাই চন্দ্র ঢালী (প্যারালাইজড) অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংদহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী পদে চাকরি পেতে ছেলে রাজকুমার ঢালীর জন্য তিনি সংসদ সদস্যকে সাড়ে চার লাখ  টাকা ঘুষ দিলেও ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি বাগিয়ে নেন প্রতিদ্বন্দ্বী অসীম কুমার।

নিমাই চন্দ্র ঢালীর ছেলে রাজকুমার ঢালী বলেন, চাকরি না হওয়ায় বাবা টাকা ফিরে পেতে দেন-দরবার করলে সংসদ সদস্য এক লাখ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি টাকার শোকে স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে অচল হয়ে পড়েছেন বাবা।

বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় নিয়োগ ও এমপিও বাণিজ্যেও মীর মোস্তাক আহমেদ রবির সম্পৃক্ততার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এমপি রবি ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহকে নিয়োগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, ভূগোলের প্রভাষক নাজমুল হক ও গ্রন্থাগারিক রহিমা খাতুনকে ফরোয়ার্ডিং দিয়ে বেতন আনিয়ে দেন। এ নিয়ে এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক শেখ শরিফুল ইসলাম দুদকে অভিযোগ করলে দুদক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মাউশির সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস কলেজের চার শিক্ষককে এমপিও কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে চিঠি দেন (স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৯৫.০৯৯.০৩১.২০২২. ০৮)। এছাড়া চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা গোপনীয় সহকারী ও শিকড়ী বৈকারী-কুশখালী (বিকে) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ মাহফুজুর রহমানসহ এমপির একান্ত কাছের লোকজনের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থের বিনিময়ে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী নিয়োগ দেওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা এলাকার ইছাহাক আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী একটি মামলা করেন (মামলা নম্বর- ২৩/২৩)।

ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি কলেজের সভাপতি থাকাকালে নিয়োগ ও এমপিওকরণে যে দুর্নীতি হয়েছে, এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না। কারণ, আমরা জানি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতির ইচ্ছার বাইরে কারো কিছু করার সুযোগ নেই।

এদিকে সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সভাপতি থাকাকালে কলেজে তথ্য জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ এবং এমপিওভুক্তি, অভ্যন্তরীণ তহবিল নষ্ট করে কমপক্ষে ১২ কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে। তথ্য জালিয়াতি করে ২১ জন শিক্ষককে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এমপিওভুক্ত করেছেন এমপি রবি। আর বাকি ১২ জন শিক্ষক জাল-জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তির চেষ্টা করলে মাউশিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য জালিয়াতি ফাঁস হওয়ায় তাদের এমপিও হয়নি। এসবের প্রতিকার চেয়ে সিটি কলেজের এমপিও বঞ্চিত শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মাউশি ও দুদকে অভিযোগ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক ২০২২ সালের ৯ মার্চ কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ আবু সাইদসহ পাঁচজনকে আসামি করে খুলনা আদালতে মামলা করেন (মামলা-৩/২২)। আর এ মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এসএম আবু রায়হান, দর্শন বিভাগের প্রভাষক নাসির আহম্মেদ ও হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক অরুণ কুমার সরকার।

অপরদিকে, সিটি কলেজের ইংরেজি শিক্ষক আবু রায়হানসহ চারজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের এমপিও স্থগিত করেছে মাউশি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিধান চন্দ্র দাস বলেন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে ২০১৫ সালে আমার এমপিও হওয়ার কথ। অথচ কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে কলেজের তৎকালীন সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে রুনা লাইলাকে নিয়োগ দিয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে এমপিওভুক্ত করান। পরে ২০১৮
সালের পরিপত্র অনুসারে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত করার সুযোগ আসে। তখন তথ্য জালিয়াতি করে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক অরুণ কুমার সরকারকে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত করেন। উপায়ন্তর না দেখে আমি দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাস দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে খুলনা সমম্বিত জেলা কার্যালয়ে অরুণ কুমার সরকারসহ পাঁচজনের নামে আদালতে মামলা দেন।

তিনি বলেন, নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করতে সভাপতি হিসেবে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি তার দায় এড়াতে পারেন না। ২০১৬ সালের ০৯ আগস্ট সর্বোচ্চ আদালতের রায় ছিল, এমপিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না। অথচ তিনি এমপি হওয়ার তথ্য গোপন করে ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল সদর উপজেলার আখড়াখোলা-মুকন্দপুর দাখিল মাদরাসার সভাপতি হন। মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সাতক্ষীরা শহরের ছফুরেন্নেসা ডিগ্রি মহিলা কলেজের সভাপতি হন ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ। অথচ তার আগের ৬ মার্চ তিনি সভাপতি হিসেবে গভর্নিং বডির সভা করেন এবং আটজনকে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেন।  

পরে দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পড়লে তিনি নিজে সরে গিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব লোকজনকে সভাপতি বানিয়েছেন। এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শিক্ষাখাতে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির কালো থাবাই তাকে সর্বোচ্চ বিতর্কিত করে তুলেছে নির্বাচনী এলাকায়।  

এ প্রসঙ্গে একজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এমপি সাহেব তার লোকজনকে বসিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ করে দিয়েছেন। তাও যদি একজনকে একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করতেন মেনে নেওয়া যেত। একেকজনকে দুটি-তিনটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করে প্রতিষ্ঠানগুলো জিম্মি করে ফেলেছেন তিনি।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন তো করতেনই না বরং বিভক্তি সৃষ্টি করে ‘রবি লীগ’ তৈরির চেষ্টা করেছেন বিগত ১০ বছরে। তাকে প্রধান অতিথি না করে দলীয় কর্মসূচিও পালন করতে পারত না সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ।

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ১১,  ২০২৩
এমআরএম/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।