ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে কথা বলছেন ভূমি সচিব মো. মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অনলাইন এলডি ট্যাক্স (ভূমি উন্নয়ন কর) সিস্টেম দেশের অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে বলে জানিয়েছেন ভূমি সচিব মো. মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে কর না দিলে মানুষের এ সম্পর্কিত যাতায়াত কমে যাবে।

ফলে জাতীয়ভাবে বিশাল কর্মঘণ্টা রক্ষা পাবে। এতে দেশের সামগ্রিক জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘‌ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালায় সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী।

মো. মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, অনলাইন এলডি ট্যাক্স (ভূমি উন্নয়ন কর) সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিকরা যেকোনো স্থান থেকেই স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিং বা অন্য যেকোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন করের অর্থ জমা দিতে পারবেন। এজন্য ভূমি কর দেওয়ার জন্য মানুষের যাতায়াত কমে যাবে।

তিনি বলেন, সততা মানব আচরণের সহজাত একটি বিষয় হওয়া উচিত, একে আলাদাভাবে দেখার কিছু নেই। তেমনি দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও জনবান্ধব ভূমি সেবা প্রদানও গণকর্মচারী হিসেবে আমাদের সহজাত দায়িত্ব। ভূমিমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এ আদর্শ ধারণ করেই কাজ করে যাচ্ছি।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী বলেন, এ বছরের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের ওপর মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাবে। মাঠ পর্যায়ের পুনর্নিবেশ অনুযায়ী পরীক্ষা ও পুনঃমূল্যায়ন করে আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ দেশব্যাপী পুরোদমে এ সিস্টেম চালু হয়ে যাবে।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য বেগম যাহিদা খানম ও মো. জয়নাল আবেদীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাসুদ করিম, মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, প্রদীপ কুমার দাস, মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন, তপন কুমার কর্মকারসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মতামত দেন। যা থেকে বেশ কিছু সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়।

ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের পাইলটিং এর জন্য প্রথম পর্যায়ে ০৮টি জেলার ০৯টি উপজেলাধীন ০৯টি পৌর/ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্তর্গত নির্বাচিত ১৯টি মৌজায় এ পর্যন্ত ৬২ হাজার ১০৫টি হোল্ডিং আপডেট করা হয়েছে। সারা দেশে হোল্ডিং সংখ্যা মোট প্রায় সাড়ে ৩ কোটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।