ঢাকা: মোট চাষের জমির অর্ধেকেরও বেশি অকৃষকদের হাতে রয়েছে। কিন্তু এ অকৃষকরা কৃষি উৎপাদনে মেধা বা পুঁজি বিনিয়োগ করছেন না।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ‘আন্তর্জাতিক পারিবারিক কৃষিবর্ষ ২০১৪ ভূমির মালিকানা, জলাশয় ও বনভূমির দায়িত্বশীল প্রশাসন সংক্রান্ত ভলান্টারি গাইডলাইন এবং দায়িত্বশীল কৃষি বিনিয়োগ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড ও এশিয়ান ফার্মার অ্যাসোসিয়েশন ফর সাসটেইনেবল রুরাল ডেভেলপমেন্টের (এএফএ) সহযোগিতায় উন্নয়ন ধারা, খানি বাংলাদেশ ও কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে। উন্নয়ন ধারার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম ওই প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, এদেশের কৃষক জনগোষ্ঠীর মধ্য ভূমিহীন কৃষক ৫৩ শতাংশ, প্রান্তিক কৃষক ২৪ শতাংশ ও ক্ষুদ্র কৃষকের সংখ্যা ১১ শতাংশ। এই তিন শ্রেণির কৃষকই মোট কৃষক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮৮ শতাংশ।
কিন্তু বর্তমানে ব্যয়বহুল চাষাবাদের কারণে তারা কৃষিতে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তাই এসব বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

undefined
বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রবন্ধে বলা হয়, কৃষি এখন বাণিজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বাজার ব্যবস্থার ওপর কৃষকের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় উৎপাদন থেকে তেমন কোনো লাভ কৃষকের ঘরে উঠছে না। কৃষক যে পণ্য লোকসানে বিক্রি করছেন, সেই পণ্য থেকেই কয়েকগুণ লাভ তুলে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এছাড়াও প্রবন্ধে কৃষকের মজুরি, কৃষি জাতীয় নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করে কৃষিখাতে সঠিক বিনিয়োগ ও পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলে ধরেন।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন ইরি বাংলাদেশ’র সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জয়নাল আবেদীন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক সদস্য পরিচালক ড. খালেকুজ্জামান আকন্দ চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪