ঢাকা, বুধবার, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্যকেন্দ্রিক কূটনীতি গ্রহণ করতে হবে: আমীর খসরু

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৫
বাণিজ্যকেন্দ্রিক কূটনীতি গ্রহণ করতে হবে: আমীর খসরু সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যরা।

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বার্থে বাণিজ্য কেন্দ্রিক কূটনীতি গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের প্রতিটি বাংলাদেশ মিশনের প্রধান লক্ষ্য হতে হবে বাণিজ্য প্রসার।

আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমরাও এটাকেই প্রাধান্য দেবো।  

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সারিনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে তেমন বিনিয়োগ আসেনি। ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের পর সুযোগ এসেছে। এখন নতুন বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

আমীর খসরু বলেন, বিশ্বে ভারত ও চীনা প্রবাসীদের প্রভাব বেশি। তাদের দক্ষতা অনেক বেশি। আমাদের দেশের প্রবাসীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। আমাদের আরও দক্ষতা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। একটি গোষ্ঠী বিগত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। আর কেউ পায়নি। তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার নিয়ে  ব্রিটিশ এমপি রূপা হকের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থনীতিতে অলিগার্কদের (কয়েকজনের শাসন) উত্থানে পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থনীতিতে অলিগার্কদের উত্থান হয়। অলিগার্কের উত্থানে পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রথমে শুরুতে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করেছে। এরপর দলটি একে একে সব জায়গা দখল করেছে। পুরো অর্থনীতি তাদের পছন্দের লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। এর ফলে সবার সমান সুযোগ না থাকায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এমপি রূপা হক বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে হলে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে হবে। তাহলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।

সংবাদ সম্মলেনে বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক হাফিজুর রহমান, বিকেএমইএর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, ইউকেবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ, ইউকেবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এমজি মওলা মিয়া ও বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৫
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।