ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫০ বছর ধরে কর অব্যাহতি দিয়ে বহু ‘শিশু’ লালন করছি, আর কত: অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
৫০ বছর ধরে কর অব্যাহতি দিয়ে বহু ‘শিশু’ লালন করছি, আর কত: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ । ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করার পর কর অব্যাহতি চান। ৫০ বছর ধরে বহু শিশু লালন-পালন করছি কর অব্যাহতি দিয়ে, প্রণোদনা দিয়ে।

আর কতকাল এই শিশুদের লালন করব? 

তিনি বলেন, উদাহরণ দিলাম না, এসব শিশু এখনো শিশুই রয়ে গেছে। শারীরকভাবে বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সুরক্ষা দিতে বলে। এই সুরক্ষার দিন কিন্তু চলে গেছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা এ কথা বলেন। আগারগাঁও এনবিআর ভবনে এ অনুষ্ঠান হয়।  

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কর দিলাম না, চালান দিলাম না, করছাড় চাইলাম- আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে সিম্পল বিষয় নয়।  সার্বিক ভাবে এর ইমপ্যাক্ট পড়ে। এই কর নিয়ে আমরাও বিপদে পড়ব, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেও বিপদে তৈরি করব। আমাদের ট্যাক্স জিডিপি খুবই কম, যা অন্য কারো সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও লজ্জার মধ্যে ফেলে দেয়।  

তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে বেরিয়ে আসবে। তখন এই সুবিধা থাকবে না। এ ধরনের সুযোগ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে আমরা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারব না। এসব বিষয় মাথায় রেখে সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা কর দিন।

কর কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি বলেন,আপনাদের বন্ধুসুলভ হতে হবে। একেবারে জোর করবেন না, কোনো অসুবিধা হলে কথা শুনতে হবে। কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হলে, কোনো অসুবিধা হলে সরকার বিবেচনা করবে, বিষয়টি মনে রাখতে হবে। এতে আমাদের সবার জন্য মঙ্গল হবে।  

উপদেষ্টা বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। একদিকে কর জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চাপ, শিক্ষা-স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ানোর চাপ এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক খাতের খরচ না কমানোর চাপ। কিন্তু এ টাকা আসবে কোথা থেকে?  সব বিষয় খেয়াল রেখে মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।  

অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আয় কম হওয়ার কারণে অনেক সময় ব্যয় কমানো হয়। এতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়। প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে রাজস্ব বাড়বে।

ভ্যাট দেব জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে- শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বেলাল হোসেন বলেন, ভোজ্যতেলের ওপর ৫ শতাংশ  ভ্যাট কার্যকর আছে। কম দামে ভোজ্য তেল ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে ধাপে ধাপে কর কমানো হয়েছে। রাজস্বের বড় খাত সিগারেটে এবার মূসক (মূল্য সংযোজন কর) বাড়বে।  

এতে উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, এস এম কামাল উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক হাফিজুর রহমানসহ আরও অনেকে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য  (ভ্যাট) আ. রউফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।