ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কালো টাকা সাদা করার দাবি বস্ত্র খাতের ছিল না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৪
‘কালো টাকা সাদা করার দাবি বস্ত্র খাতের ছিল না’

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে, অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্য অস্বীকার করেছে বস্ত্র খাতের তিন সংগঠন—বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন তিনটির পক্ষ এ কথা জানানো হয়।

কালো টাকা সাদা করতে আপনাদের পক্ষ থেকে আসলেই এমন কোনো দাবি ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিন ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতিই বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কালো টাকা সাদা করার দাবি বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের ছিল না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ-এর সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রণোদনার ওপর আয়কর অব্যাহতি, পোশাক শিল্পের ঝুট থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং রিসাইকেল ফাইবার সরবরাহের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসবে, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, এইচএস কোড ও ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, ইআরকিউয়ের ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানি কর রেয়াত, এমন আশা করেছিলাম। কিন্তু এসব ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছে তিন সংগঠন।

আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাক শিল্পে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করার দাবি জানান তৈরি পোশাক শিল্পের নেতারা। তারা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল বাজেটে পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক কিছু নীতি সহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং এটিকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে আমাদের গভীর প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি।

তৈরি পোশাক শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের। ভবিষ্যতে রপ্তানি বৃদ্ধির আরও সম্ভাবনা আছে। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় রপ্তানিতে কাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে করহার না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। এতে অর্থনীতি বেশি উপকৃত হবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ-এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এবং বিকেএমইএ-এর সহ-সভাপতি মো. আক্তার হোসেন অপূর্ব ও সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।