ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদ উপলক্ষে আজিজ মার্কেটে ব্যাপক মূল্য ছাড়, বিক্রি নিয়ে অসন্তোষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
ঈদ উপলক্ষে আজিজ মার্কেটে ব্যাপক মূল্য ছাড়, বিক্রি নিয়ে অসন্তোষ

ঢাকা: আর মাত্র কয়েক দিন পরই সারাদেশে উদযাপিত হবে মুসলামনদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল আজহা। এই ঈদে কোরবানির পশু প্রধান উপজীব্য হলেও অনেকে এ উপলক্ষে নতুন জামা কিনতে পছন্দ করেন।

রাজধানীতে ছেলেদের টি-শার্ট আর পাঞ্জাবির সমাহার রয়েছে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে। করোনা পরবর্তী ব্যবসা মন্দা কাটাতে অধিক বিক্রির আশায় সীমিত সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে ব্যাপক ডিসকাউন্ট বা মূল্য ছাড়। তবে প্রত্যাশিত বিক্রি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দোকানিরা। রোববার (২৫জুন) সরেজমিনে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিন সকাল থেকেই নিচ তলা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দোকান খুলে বসেছেন। দোকানের সামনেই ডিজিটাল ব্যানার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে ডিসকাউন্টের ঘোষণা। দুয়েক জন ক্রেতা যারা এসেছেন তারা এসব পোস্টারে আকৃষ্ট হয়ে পছন্দের জামা খুঁজে নিচ্ছেন। নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলায় ক্রেতা কয়েকজনকে দেখা গেলেও তৃতীয় তলা ছিল একেবারে শূন্য। তবে বিক্রেতাদের ধারণা সন্ধ্যার দিকে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়বে, তখন বিক্রি ভালো হবে।

নিচ তলায় থাকা ব্র্যান্ড ওপাসে ফুল শার্টগুলোতে দেওয়া হয়েছে ৪০ ভাগ ছাড়। জানতে চাইলে বিক্রয়কর্মী হৃদয় হোসেন মিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা বিশেষ ছাড় দেই। এবার ফুল শার্টে ছাড় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। মার্কেটে ক্রেতা আসছে কম।

কম বিক্রির কারণ নিয়ে সারাবেলা দোকানের বিক্রয়কর্মী মামুনুর রশীদের কাছে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমার মনে হয় দুটো কারণ থাকতে পারে। একটি হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ জামা কাপড় রমজানের ঈদে কিনে ফেলে, এখন কোরবানিকে মূলত ফোকাসড করে। আরেকটা কারণ হতে পারে মানুষের এখন অন্যান্য খরচ বেড়েছে। সে কারণে তারা কম জামা কাপড় কিনছেন।

তবে সরাসরি বিক্রি কম হলেও অনলাইনে ভালোই বেচাকেনা হছে বলে জানিয়েছেন মেঘের শো-রুমের ম্যানেজার শামসুল ইসলাম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের অনলাইন পেজে সব বিষয়ে তথ্য থাকে। যাদের পছন্দ হয় তারা ইনবক্স করেন, আমরা কুরিয়ারে পণ্য পাঠিয়ে দিই।

বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবিতে ব্যাপক ছাড় দিয়েছে শাল মহুয়া। নিচ তলার এই দোকানে ছাড়ের পর ৩৮০ টাকায় পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রয়কর্মী আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ভালো বিক্রি হচ্ছে। ২০ পার্সেন্ট থেকে শুরু করে ৭০ পার্সেন্ট পর্যন্ত আমরা মূল্য ছাড় দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসকেবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।