ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক: ফাইল ফটো

ঢাকা: বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স আশা জাগিয়ে গেল। গত বছরের সেপেটম্বরে রেমিট্যান্সে ছন্দ পতন হয়।

পরপর দুই মাস এ ধারা অব্যাহত থাকে। নভেম্বর মাসে কিছুটা উন্নতি হয়। ডিসেম্বর মাসে আরও বাড়ে। এর ফলে রেমিট্যান্স নিয়ে যে হতাশা তৈরি করেছিল তার কিছুটা হলেও দূর হয়েছে।

রোববার ( ১ জানুয়ারি)  এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করে।

তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এ রেমিট্যান্স নভেম্বরের চেয়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ডলার বেশি। এবং আগের বছর ২০২১ এর ডিসেম্বরের চেয়ে সাত কোটি ডলার বেশি। সে হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের ছন্দ পতন শুরু হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সময়ে একদিকে ব্যাংক নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, দেশে-বিদেশে  মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে দাম বেধে দেওয়া হয়। এর সবগুলো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে। রেমিট্যোন্সে বড় হঠাৎ করে বড় ধরনের পতন হয়। যা ডলারের সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলে।

তথ্যে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে ভালো রেমিট্যান্স আসে। বছরের প্রথম মাস জুলাই আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ লাখ এবং আগস্টে আসে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।  এরপর সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স কমে ১৫২ কোটি ৬৯ ডলারে নামে। ডলারের এ ছন্দপতন অর্থনীতির অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের ছন্দ পতনের পরপরই  নড়েচড়ে বসে সরকার। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ সময় মানি ট্রান্সফার ও ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে ফি মওকুফের ঘোষণা দেওয়া হয়,  নির্দিষ্ট পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন না তোলা, মোবাইল ফাইনান্সিং ব্যবহার করে দ্রুত টাকা পাঠানো সুবিধার ঘোষণা এবং রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর কুফল প্রচার শুরু হয়। এর সুফল পাওয়া যায়। পরের মাস থেকে বাড়তে শুরু করে। ডিসেম্বর মাসে এসে একটি  দৃশ্যমান ভালো অবস্থানে এসে দাঁড়ায়।

ডলারের সংকটের সময়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স দেশে এনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংক দুটি মাধ্যমে যথাক্রমে ৫০১ মিলিয়ন ডলার ও ১০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এরপরই আল ফালাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ৮৮ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার; ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ৮৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ৭৭ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার। যথারীতি আগের মতোই কোনো রেমিট্যান্সই আনতে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বিডিবিএল, বিদেশি এইচএসবিসি, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট অব ইন্ডিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫  ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।