ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতার আলিপুর জেল মিউজিয়ামে খুলে দেওয়া হলো ‘নজরুল সেল’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
কলকাতার আলিপুর জেল মিউজিয়ামে খুলে দেওয়া হলো ‘নজরুল সেল’

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১১ জৈষ্ঠ শুক্রবার (২৬ মে) বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে আলিপুর জেলে নজরুল সেলের উদ্বোধন করলেন কলকাতা করপোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

 

উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র ইন কাউন্সিল দেবাশিষ কুমার, স্থানীয় কাউন্সিলার দেবলীনা বোসসহ বিশিষ্টরা।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে কবি নজরুলসহ ৫০ জন বিপ্লবী ইংরেজদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এই সেলে ছিলেন।  ১৯২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে ৮৭ দিন বন্দী ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। সেই সেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কাজী নজরুল ইসলাম সেল’। স্থাপন করা হয়েছে কবি নজরুলের একটি ভাস্কর্য। রাখা হয়েছে তার সৃষ্টির নানা ঐতিহাসিক স্মারক। সেই সেল সবার জন্য খুলে দেওয়া হলো।

নজরুল সেলের উদ্বোধন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, নজরুল দুই দেশের, বিশেষ করে দুই বাংলার। ভারত-বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিকে তার জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। শেষ নিঃশ্বাস সে দেশের মাটিতে ত্যাগ করেছেন। কিন্তু জন্মেছিলেন এই বাংলায়। তাই নজরুলকে আলাদা করা যায় না। তিনি দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ কবি।

তিনি আরও বলেন, আমরা হৃদয় থেকে রবীন্দ্র-নজরুলকে আলাদা করে ভাবি না। বাংলার সংস্কৃতি ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম’- এর মতো। রবীন্দ্র-নজরুল আমাদের কাছে ঠিক তেমন। এমন দিনে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা গর্বিত বোধ করছি।

ব্রিটিশ আমলে ১৯০৬ সালে তৈরি হয়েছিল আলিপুর জেল। পরবর্তী সময়ে ১৫ একর জমির ওপর বিস্তৃত আলিপুর জেল ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জেল মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়। সোমাবার বাদে বাকিদিন বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই জাদুঘরটি খোলা থাকে।

ইতোমধ্যে পরাধীন ভারতের বীর বিপ্লবীদের সম্মান জানিয়ে, গত বছর থেকে সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় জেল মিউজিয়াম। সেখানে রয়েছে ক্ষুদিরামসহ ব্রিটিশ সরকারের বিরোধীদের ফাঁসির মঞ্চ, নেতাজি, চিত্তরঞ্চন, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত বন্দি থাকা গরাদ। এমনকী বাংলার রূপকার তথা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় যে কারাগারে ছিলেন, তাও সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এখানেই বন্দী ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহেরু এবং সেই স্থানও সুরক্ষিত রাখা রয়েছে, যেখানে ইন্দিরা গান্ধী প্রতি দু’সপ্তাহে একবার ২০ মিনিটের জন্য দেখা করতেন নেহেরুর সঙ্গে। এরকম নানা জায়গা খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ২৬ মে, ২০২৩
ভিএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।