ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

যে কারণে বাদ পড়লেন সৌম্য-তাসকিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
যে কারণে বাদ পড়লেন সৌম্য-তাসকিন সৌম্য-তাসকিনের বাদ পড়ার কারণ জানালেন বিসিবি নির্বাচক নান্নু-ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ব্যাট হাতে তিনি ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারছিলেন না তাই ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। বলছিলাম সৌম্য সরকারের কথা। আর টাইগারদের গতি তারকা তাসকিন আহমেদ বাদ পড়েছেন মূলত গেল বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভাল করতে না পারায়।

পাশাপাশি বিসিবি মনে করছে, লম্বা সময় ধরে তাসকিন লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটে খেলছেন না। সেখানে তার অংশগ্রহন অপরিহার্য।

৯ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াচ্ছে লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেট বিসিএল। সেখানেই বছরের শুরু করবেন এই দুই টাইগার সদস্য।

রোববার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ মাধ্যমকে কথাগুলো বলেছেন টাইগারদের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

নান্নু বলেন, ‘সৌম্য সব ফরম্যাটেই কিছুদিন ধরে খেলে যাচ্ছে। তার প্রতিভা নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন নেই। যেহেতু ধারাবাহিকতার মধ্যে নেই এজন্য আমরা তাকে একটা ব্রেক দিয়েছি। সিস্টেমের মধ্যেই আছে। সে যেহেতু আমাদের পুলভুক্ত খেলোয়াড়। ধারাবাহিকতায় থাকলে পরে আবার বিবেচনা করা হবে। তাসকিন আহমেদ দ.আফ্রিকা সফরে ফর্মে ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার কিছু ম্যাচ খেলা দরকার আছে, লঙ্গার ভার্সনে। সেই হিসেবে ওকে বাদ দেয়া হয়েছে। ’

২০১৪ সালের এক ডিসেম্বর টাইগারদের ওয়ানডে দলে অভিষেকের পর ক্রিকেটের প্রতিটি ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। শুরুর দিকে দুর্দান্ত এক একটি ম্যাচ খেলে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার মূর্ত প্রতীক। কিন্তু ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকা সিরিজের পরই তার ছন্দ পতন হয়।

এরপর থেকে গেল বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দ. আফ্রিকা সফর পর্যন্ত খেলা টানা ১৬ ওয়ানডেতে কোনো শতকের দেখা পাননি এই ওপেনার। প্রায় আড়াই বছরে তার উল্লেখ করার মতো ছিল কেবল গেল বছরের মে মাসে ডাবলিনে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসটি। একই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিনে ৬১ রানের আরেকটি ইনিংস।

এছাড়া আর কোনো ম্যাচেই তিনি ব্যক্তিগত ৪০ রানের কোঠাও স্পর্শ করতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটেও তার অবস্থা তথৈবচ। সাদা পোশাকে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলা এই ওপেনার গেল মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজে গলে ৭১ রানের পর কলম্বোতে খেলেছেন ৬১ রানের ইনিংস। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও দ. আফ্রিকা সফরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

আর টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৮ রান করা সৌম্য দ. আফ্রিকা সফরে দুই ম্যাচে ৪৪ ও ৪৭ রান করলেও হালে তার বলার মতো আর একটি ম্যাচ ছিল গত বছরেরর শুরুতে নিজজিল্যান্ডে। মাউন্ট ম্যাঙ্গানুইয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ বলে খেলেছিলেন ৪২ রানের এক ইনিংস। এর আগে ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সংগ্রহ করেছিলেন ৪৩ রান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা,৭ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।