ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

দুরন্ত-দাপুটে জয় প্রত্যাশা সবার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
দুরন্ত-দাপুটে জয় প্রত্যাশা সবার ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: প্রথম টি-টোয়েন্টির পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফল মাশরাফিবাহিনী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশ।

চার ম্যাচের সিরিজে প্রত্যাশিত লিড (১-০) নিয়েছে স্বাগতিকরা। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আজ (রোববার) দুপুর তিনটায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। স্বভাবতই এ ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চলবে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা।  

জিম্বাবুয়ে সিরিজের সঙ্গে ভালোভাবেই আটকে গেছে ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ শব্দটি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ। এরপর মার্চে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাইতো নিজেদের শক্তি-দূর্বলতার জায়গাগুলোকে ফাইন টিউনিং করতেই চলছে এই পরীক্ষা। আর তা থেকে যদি মেলে সত্যিকার টি-টোয়েন্টি কম্বিনেশন!

আদর্শ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড গড়তে এ সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে সেটা সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্ট। কথা মতোই কাজ হচ্ছে। প্রথম ম্যাচেই অভিষিক্ত হন দুই ক্রিকেটার-শুভাগত হোম ও তরুণ ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। মুশফিকুর রহিমকে নির্ভার রাখতে গ্লাভস দেওয়া হলো নুরুল হাসানকে। অদল-বদলের শুরু ওখান থেকেই। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে সোহান চমক দেখালেন প্রথমবারই। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (৭৯) রান আউট করলেন অনিন্দ্য সুন্দর এক সরাসরি থ্রো’তে।   এ জন্যই জিম্বাবুয়েকে বাধা গেল ১৬২ রানে।

শুভাগত হোমকে চার নম্বরে নামিয়ে মাশরাফি করেছেন পরীক্ষা। সাব্বিরকে তিনে নামিয়ে ইনিংস সেরা রান (৪৬) আদায় করেছেন মাশরাফি। আর ম্যাচ জয়ের স্ট্র্যাটেজি হিসেবে সাকিব আল হাসানকে নামনো হলো ছয় নম্বরে। সাকিব ২০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।

প্রথম ম্যাচের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বের হলো অনেক কিছুই। সাব্বিরের জন্য তিন নম্বর জায়গাটা তুলে রাখাই যেতে পারে। নুরুল হাসানের টেম্পারমেন্ট বলছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্যই তিনি। সাকিবকে টপঅর্ডারে ‍না খেলিয়ে ফিনিশারের ভূমিকায়ও রাখা যেতে পারে।  

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ম্যাচের উত্তাপ আবার ম্লান হয়ে যাচ্ছে না তো!

মিরপুরে খেলা হলেই মাঠে যান এমন কয়েকজন তরুণের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হলো। খুলনাতে খেলা হওয়ায় ঢাকার ক্রিকেটপ্রেমীরা মিস করছেন টাইগারদের খেলা। দীর্ঘসময় পর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নেই সিরিজের কোনো ম্যাচ। তাই ঢাকার দর্শকদের টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেই উপভোগ করতে হচ্ছে টাইগারদের খেলা। বাংলাদেশ জিতলেও খুব বেশি সন্তুষ্টি ঝরছে না তাদের কন্ঠ থেকে।   

মিরপুর ২ নম্বরের বাসিন্দা আতিক হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আশা করেছিলাম জিম্বাবুয়েকে কোনোরকম পাত্তাই দেব না আমরা, উড়িয়ে দেব তাদের। কিন্তু দেখলাম ওদের প্রথম উইকেট পড়লো ১০০’র পরে। ১৬২ রান চেজ করতে গিয়ে মাঝে মনে হয়েছিল ম্যাচটা বের হয়ে যাচ্ছে। যদিও শেষমেষ ৮ বল হাতে রেখেই জিতেছি। তারপরও এটাকে ক্লিন সুইপ বলতে পারছি না। আমাদের প্রত্যাশা নিশ্চয়ই এর চেয়ে বেশি।

মিরপুরে ম্যাচ হলে গ্যালারিতে থাকবেনই- এমন আরেক তরুণ উমর ফারুক বলেন, খুলনাতে ব্যাটিং উপযোগী উইকেট করা হয়েছে-এটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন উইকেটেই হবে। যতই পরীক্ষা-নিরীক্ষা হোক, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দূরন্ত জয় না পাওয়া গেলে আত্মবিশ্বাস কিভাবে বাড়বে? কে, কোন পজিশনে ভালো সেটা দেখতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ কেন? ওদের (জিম্বাবুয়ে) বিপক্ষে বড় জয় চাই।

আসলে ক্রিকেটভক্তদের প্রত্যাশার পারদ এতটা বাড়িয়েছেন ক্রিকেটাররাই। ২০১৫ সালে একের পর এক দাপুটে সিরিজ জয়ের পর তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুরন্ত-দাপুটে জয়  প্রত্যাশা করছেন টাইগারভক্তরা। আর সে প্রত্যাশা পূরণে যে সক্ষম মাশরাফিবাহিনী সেটিও জানা ভক্তদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর

** জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় টাইগাররা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।