সব দেশি ক্রিকেটার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল দুর্বার রাজশাহী। তাতে সম্মতি দিয়েছিল বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটিও।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ২ রানে হারিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে রংপুর। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে থামে রাজশাহী।
ম্যাচ হবে কি না জল্পনা শেষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে দুর্বার রাজশাহী। প্রথমবারের মতো সব দেশি ক্রিকেটার নিয়ে বিপিএল খেলতে নামা দলটির ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি।
রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা সানজামুল ইসলাম। ২৯ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর বাইরে আকবর আলি ২১ বলে ১৯ ও ১৬ বলে ১৩ রান করেন এনামুল হক বিজয়।
রাজশাহীকে অল্প রানে আটকে দেওয়ার পথে রংপুরের হয়ে বল হাতে ভূমিকা রাখেন খুশদিল শাহ। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রাকিবুল হাসান।
১২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কেমন যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে রংপুর রাইডার্স। চতুর্থ বলে স্টিভেন টেলরকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন তাসকিন আহমেদ। নিজের পরের ওভারে এসে তিনি ফেরান ৩ বলে শূন্য রান করা সাইফ হাসানকেও।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে আসেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এই ওভারের পরই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে রাজশাহীর। ষষ্ঠ ওভারে এসে সৌম্য সরকার ও মাহেদী হাসানকে ফিরিয়ে মেডেন দেন মৃত্যুঞ্জয়।
মাঝে ইফতেখার আহমেদ ২০ বলে ১৪ ও ১৮ বলে ১০ রান করে আউট হন খুশদিল শাহ। তাদের বিদায়ের পরও হাল ছাড়েননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অনেকটা একা দলকে টেনে নিতে থাকেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেওয়া রাকিবুল হাসান ২২ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান।
তবে সাইফউদ্দিন শেষ ওভারে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। ছয় বলে রংপুরের দরকার ছিল ২৫ রান। প্রথম দুই বলেই ছক্কা হাঁকান সাইফউদ্দিন। এরপর জয়ের জন্য ৪ বলে রংপুরের দরকার হয় ১৩ রান। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ বল ডট দেন সাইফ।
পঞ্চম বলে চার ও শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি সাইফউদ্দিন। ৩১ বলের ইনিংসে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রাজশাহীর মৃত্যুঞ্জয়। দুই উইকেট নেওয়া তাসকিন পৌঁছান মাইলফলকে। নির্দিষ্ট একটি আসরে বিপিএলে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট তার।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬,২০২৫
এমএইচবি/এএটি