গ্যাবায় অতীত স্মৃতি খুব একটা ভালো ছিল না ট্রাভিস হেডের। সবশেষ তাকে তিন ইনিংসে ফিরতে হয়েছে শূন্য রানে।
গ্যাবায় প্রথম দিনের অনেকটাই বৃষ্টির পেটে গেলেও আজ তেমনটা ঘটেনি। হেডের পর দেড় বছর বাদে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৪০৫ রান নিয়ে দাপুটে দিন কাটায় অস্ট্রেলিয়া। মাঝেমধ্যে ভারতও লড়াইয়ের ছাপ রেখেছে। তবে সেটি কেবল এবং কেবলমাত্র জাসপ্রিত বুমরাহর কল্যাণে। তাই দ্বিতীয় দিনের খেলাটি অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত নয়, বরং অস্ট্রেলিয়া বনাম বুমরাহর মধ্যেই চলেছে বললে ভালো হয়।
সকালের শুরুটা ভারতের জন্য আলোকিত করে তোলেন ডানহাতি এই পেসার। ৩৮ রানের ভেতরই সাজঘরে ফেরান দুই ওপেনার উসমান খাজা (২১) ও ন্যাথান ম্যাকসুয়েনিকে (৯)। লাঞ্চের আগে মার্নাস লাবুশেনকে শিকার করেন (১২) নীতিশ রেড্ডি।
৭৫ রানের ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা চাপে থাকলেও ভারতকে পেয়ে আবারও তাণ্ডব শুরু করেন হেড। সময়ের সঙ্গে ক্রিজে ঝেঁকে বসেন ফর্মহীনতায় থাকা স্মিথও।
চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৩০২ বলে গড়ে তোলেন ২৪১ রানের জুটি। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন কেবল ১১৫ বলে। বছরের শুরুতে এখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ডাক মেরেছিলেন তিনি। তাই ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে একই ভেন্যুতে একই বছর পেয়ার ও সেঞ্চুরির নজির গড়লেন তিনি।
সবশেষ এমনটা দেখা গেছে ২০ বছর আগে। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুল। পরে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেন তিনি।
হেড অবশ্য আগের ম্যাচেও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। কিন্তু স্মিথকে অপেক্ষা করতে হয়েছে টানা ২৫ ইনিংস। একটি সেঞ্চুরির জন্য এর আগে কখনোই তাকে এতো অপেক্ষা করতে হয়নি। স্টিভ ওয়াহকে (৩২) ছাড়িয়ে নামের পাশে এখন ৩৩টি সেঞ্চুরি তার। অজি ব্যাটারদের মধ্যে সামনে আছেন কেবল কিংবদন্তি রিকি পন্টিং (৪১)।
সেঞ্চুরির পরপরই ১৯০ বলে ১২ চারে ১০১ রানে স্মিথকে ফেরান বুমরাহ। তবে হেড অবশ্য দেড়শ পূরণ করেন। কিন্তু মাইলফলকে ছোঁয়ার পর তাকেও থামতে হয়। ১৬০ বলে ১৮ চারে ১৫২ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার শিকারে পরিণত হন বুমরাহর। তাতে ১২তম ফাইফার পূর্ণ করেন ডানহাতি এই পেসার। কেননা স্মিথের পর মিচেল মার্শকে ফেরান তিনি।
এশিয়ার বাইরে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফাইফার এখন বুমরাহরই। কপিল দেবকে (৯ বার) টপকে ১০ বার এই মাইলফলকে নাম লেখান তিনি। বুমরাহর দাপুটে বোলিংয়ে ভারত লড়াইয়ে থাকে কিছুক্ষণ। কিন্তু অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে চড়ে ভারতের বিপক্ষে টানা ১১ টেস্ট পর ৪০০ পেরোয় অস্ট্রেলিয়া। ৪৭ বলে ক্যারি ৪৫ ও মিচেল স্টার্ক ৭ রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
এএইচএস