ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফখরকে শিকার করে মিরাজের ‘১০০’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
ফখরকে শিকার করে মিরাজের ‘১০০’

প্রথমে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন আফ্রিদি। তার মতোই ওয়ানডেতে শততম উইকেট পূর্ণ করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মাইলফলক ছোঁয়া থেকে কেবল তিনটি উইকেট দূরে ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের প্রথম তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে উইকেটের সংখ্যায় তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন এই অলরাউন্ডার।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিককে ফিরিয়ে অবশেষে ১২৮ রানের সেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিরাজ। নতুন আসা ব্যাটার বাবর আজমকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তিনি। এরপর শততম শিকারে পরিণত করেন ফখর জামানকে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো দলের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম স্পেল। মাটি কামড়ে পড়ে থাকাটাই ওখানে বেশির ভাগ সময় বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু সেটি করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমকে আউট করেন আফ্রিদি। ৫ বলে শূন্য রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিলেও আম্পায়ারস কলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।  

এক ওভার বিরতি দিয়ে আবার বোলিংয়ে এসে এবার নাজমুল হোসেন শান্তকে আউট করেন আফ্রিদি। একটি চার মেরে আত্মবিশ্বাসের আভাস দিলেও ৩ বলে ৪ রান করে ফরওয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো উসামা মিরের হাতে ক্যাচ দেন। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম হারিস রউফের শিকার হলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে।  

২৩ রানে তিন উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরবারের মতো দারুণ কিছু শট খেলেন লিটন, তাতে আশা বাড়ে বাংলাদেশের। তাদের জুটিও ছিল দারুণভাবে। কিন্তু ৬ চারে ৬৪ বলে ৪৫ রান করে ইফতেখার আহমেদের বলে শট খেলতে গিয়েও ব্যাটের ফেস অফ করে দেন, এরপর মাথায় লেগে ক্যাচ যায় আগা সালমানের হাতে।

৬৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হওয়ার পর প্রায় আধামিনিট একইরকমভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বিশ্বাসেই করতে পারছিলেন না লিটন, ছাড়তে চাইছিলেন না মাঠও। ৮৯ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটিরও অবসান ঘটে তাতে। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান।  

শুরুতে কিছুতেই রান তুলতে পারছিলেন না তিনি। বহু চেষ্টার পরও দেখা মিলছিল না সিঙ্গেলসের। ওই চাপ কিছুটা পড়ে মাহমুদউল্লাহর ওপরও। তার স্ট্রাইক রেট কমে যায়, পরে হন আউট। আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।  

সাকিব এরপর ব্যাটিংয়ে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পান। ৫৩ বলে ২৬ রান করার পর ৩৭তম ওভারে ইফতেখার আহমেদকে টানা তিন বলে বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু ওই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। হারিস রউফের বলে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ চারে ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি।  

মাঝে বাদ পড়া তাওহীদ হৃদয় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তিন বলের মধ্যে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন। উসামা মীরকে ছক্কা মারার পরের বলে আবারও তুলে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। আট নম্বরে নামা মিরাজ ৩০ বলে ২৫ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ফখর জামান ও আব্দুল্লাহ শফিক মিলে সহজ করে দিচ্ছেন পাকিস্তানের জয়ের পথ। ফিফটি তুলে নিয়েছেন দুজনেই। ৬৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন শফিক। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন ৯ রান করা বাবর। ফখর জামানও একই ভুল করেন মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে। ৭৪ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৮১ রানে আউট হন বাঁহাতি এই ওপেনার।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩

এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।