ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

চার সেঞ্চুরির ম্যাচে পাকিস্তানের রেকর্ডগড়া জয়

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
চার সেঞ্চুরির ম্যাচে পাকিস্তানের রেকর্ডগড়া জয়

কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেঞ্চুরিতে ৩৪৪ রানের শক্ত সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এতো রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল না, তাই লক্ষ্যটা পাকিস্তানের কঠিনই ছিল বটে।

তবে আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে বেশ দারুণ এক জবাব দেয় তারা। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটাও নিজের করে নিল বাবর আজম দল। ভেঙেছে ১২ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ৩২৮ রান তাড়া করার রেকর্ডটি।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আজ ১০ বল হাতে রেখে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম এক ম্যাচে চার সেঞ্চুরির দেখা মিলল। চারজনই ডানহাতি ব্যাটার, যা ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম।  শুধু তা-ই নয়, দুই দলের উইকেটরক্ষকই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। যেটা বিশ্বকাপের মঞ্চে আগে কখনো ঘটেনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে টস জিতে এদিন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই অবশ্য কুশল পেরেরাকে হারায় তারা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে নিয়ে ১০২ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। ডানহাতি এই ব্যাটার তার দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে মোহিত করে রাখেন দর্শকদের। নিসাঙ্কা ৫১ রানে ফিরে গেলেও সামারাবিক্রমাকে নিয়ে আরও একটি শতরান পেরোনো (১১১) জুটি গড়েন তিনি।

যদিও সেই জুটি ভাঙে মেন্ডিসের বিদায়ের কারণেই। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটার ফেরেন ৭৭ বলে ১৪ চার ও ৬ ছক্কায় ১২২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। তিনি চলে যাওয়ার পর সামারাবিক্রমার ব্যাটে এগোতে থাকে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিসের মতো না হলেও বেশ আগ্রাসীই ছিলেন সামারাবিক্রমা। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৮৯ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ রানে থামেন এই ডানহাতি। দুই সেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রান তোলে লঙ্কানরা। পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী সর্বোচ্চ ৪টি ও হারিস রউফ শিকার করেন ২ উইকেট।

বড় লক্ষ্যের জবাব দিতে নেমে দিলশান মাদুশঙ্কার শিকার হয়ে দ্রুত ফিরে যান ইমাম উল হক ও অধিনায়ক বাবর আজম। রানের গতিও তখন তাড়া করার মতো ছিল না। কিন্তু এরপর গিয়ার বদলান আব্দুল্লাহ শফিক ও রিজওয়ান। ফখর জামানের পরিবর্তে খেলতে নামা শফিকের এটাই ছিল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ। পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো ব্যাটারই বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। তবে সেই গেরো খুলল শফিকের হাত ধরেই। মাথিশা পাথিরানার শিকার হওয়ার আগে ১০৩ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করেন এই ডানহাতি।

শফিক চলে গেলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রিজওয়ান। রেকর্ডগড়া জয় এনে দেওয়ার পথে ১২১ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। শফিক যাওয়ার পর সাউদ শাকিলের (৩১) সঙ্গে ৯৫ ও ইফতিখার আহমেদকে (২২*) নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথ থেকে সরতে দেননি তিনি।  

নিউজিল্যান্ডের মতো দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে পরপর দুই ম্যাচে জয়হীন থাকতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এনিয়ে বিশ্বকাপে আটবারের দেখায় একবারও জয় পায়নি তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩

 এএইচএস    

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।